Tuesday, November 26, 2013

বিদায় গুগল অ্যাডসেন্স…!!! এবার অবশ্যই আয় হবে AmaderAd.Com থেকে

Julianna | 11:03 PM | 2 Comments so far

গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে কম বেশি অনেকেরই ধারনা থাকলেও আমার মতো অনেকেই টাকা খেতে পারেন নাই (আমি চেক হাতে পাওয়ার পরেই আমার একাউন্ট টি ব্লক হয়ে যায়)। আবার অনেকে আবেদন করেও একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারেননি। অনেকে ১০০ ডলার পুরন না করতে পাড়ায় চেক পাচ্ছেন না। অনেকে বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর কারনে আবেদন করতে পারছেন না। আবার মানসম্পন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইট হলেও বাংলাদেশি বলে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ সবকিছুর সমাধান নিয়ে এসেছে “AmaderAd.Com”।
No des

বাংলাদেশি এই অনলাইন অ্যাডমিডিয়া থেকে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলোঃ
১।  বাংলা অথবা ইংলিশ সাপোর্টেড ওয়েবপেজ বা ব্লগ।
২। রেভেনিউ শেয়ার ৭০% পর্যন্ত।
৩। পরবর্তী মাসের ৭ দিনের মধ্যে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা।
৪। রয়েছে রেফারেল এর সুবাধা।
৫। ব্যাঙ্ক বা বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা।
৬। সর্বনিন্ম ১০০০টাকা পেমেন্ট সুবিধা।
৭। স্পেশাল SEO আর ট্রাফিক গাইড লাইন।
৮। যারা বেশি ইনকাম করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে ফ্রী গাইডলাইন।
যেহেতু ওরা নতুন, তাই সহজেই আপনার সাইট বা ব্লগটিকে ভেরিফাই করিয়ে নিতে পারবেন। সাইটটিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে  ক্লিক করুন।
Read more ...

Sunday, November 24, 2013

Facebook Photo Verification থেকে এখন উদ্ধার করুন আপনার আকাউন্ট! মেগা পোষ্ট !

Julianna | 8:27 PM | 1 Comment so far
আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে facebook আকাউন্ট photo verification চাইলে তা উদ্ধার করতে হয় । এর আগে বলে নেই facebook কিভাবে আপনাকে এই পিকগুলা দেয়। ধরেন আপনি একজনের ফ্রেন্ড, সে যদি আপনাকে পিকচারে টেগ করে অথবা অরে যদি কেউ ট্যাগ করে তাইলে উভয় অবস্তায় আপনাকে অই পিকগুলা দিবে যা ট্যাগ করা হইছে।
facebook_securityদাঁড়ান দাঁড়ান !

আগে বলে নেই ট্যাগ জিনিসটা কি ?

ধরেন আপনি আপনার ফ্রেন্ড সহ কথাও বেড়াতে গিয়ে ছবি তুললেন। আর বাসায় এসেই ফেইসবুকে আপলোড করেলেন।  এখন আপনাকে তো আপনার ফ্রেন্ডরা চিনেই বাট অই মিয়ারে কে চিনব। কেউ তো চিনেনা !
তাই না ?
এখন আপনি আপনার অই ফ্রেন্ডকে অন্যদের মাঝে পরিচিত করে দিতে আপনি তার মুখের উপর মাউস রাখলে নাম লেখার অপশন আসবে। তখন তার নাম দিয়ে দিলে যে কেউ আপনার ফ্রেন্ডকে চিনার জন্য কোন প্রব্লেম হবে ন। এইটাই আসলে ট্যাগিং । বাট আমাদের দেশের পোলাপাইন না বুঝে, না জেনে এর use করে। এখন থেকে আপনিও সতর্ক থাকবেন টেগিং এর ক্ষেত্রে। আমি আমার আইডি রিকভার করতে গিয়ে দেখলাম ছাগল,গরু,ঘাস ETC ট্যাগ করা। খুব হাসির বিষয় না!

এখন বলি বাঁচার উপায়।

timeline review on করে রাখবেন ।যারা যারা আপনাকে পিক ট্যাগ করবে এদের ব্লক মারবেন । ব্যাস । এটা আমার সিস্টেম। এতে হেতেরে যে যে ট্যাগ করেছে হেও মরবে আমিও বাঁচব।

এবার আসেন  দেখাই কি করে photo verification হলে কিভাবে উদ্ধার করবেন ।

আসলে এটা খুব easy একটা বিষয়। বাট অনেকেই জানেন না । দেখেন আমি আসলে এই ভাবে অনেক রুজি করছি। বাট এখন চাইতেছি যে আপনাদেরকেও ফ্রী বিষয়টা জানাই।
ফেইসবুক আপনাকে ৩ ভাবে ফটো ভেরিফাই করতে পারে।
১.একটা একটা পিকচার দিয়ে (সাধারনত মোবাইল ইউজারদের ক্ষেত্রে)
২. ৩টা পিকচার দিয়ে
৩.পিকচার দিবে বাট নাম দিবে না
আমি দেখাব ২ নং টা । অন্যগুলা আরেক দিন না হয় বলব। অথবা আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন।
যা যা লাগবে
১. স্ক্রিনসট নেয়ার একটা সফটওয়্যার। আমি picpick use করেছি।
২. পিসি ।
৩. ধৈর্য । (৫/৪ দিন ট্রাই করতে হবে। )
কাজের ধারা
প্রথমে আপনি কয়েক বার প্রতিটা পিকচারের এর স্কিন শর্ট/ screen capture নিবেন।
Image-1Image-2
এভাবে যতবার আসবে ততোবার পিকচারের screenshot নিবেন।সর্বচ্চ এক বারে ৫ টা থেকে ৭ টা পিকচার নিতে পারবেন।  নিচের অই নামগুলা সহ স্ক্রিনসর্ট নিবেন। আপনি একবার ভেরিফাই করার পর সবগুলা পিকচার ভুল হবে। এভাবে প্রতি ঘন্টায় আপনি একবার করে ভেরিফাই করতে পারেন। এগুলা ভুল হবে, ভুল হোক নো প্রব্লেম । এখন ধরেন আপনার ২০/৩০ বা ৪০/৫০ টা পিক জমা হল কিন্তু একটাও চিনেন না । এখন আপনি দেখতে থাকেন। মানে অই পিকগুলা আপনি দেখেন,এনালাইয করেন, খুঁজেন যে কথাও আপনি একি পিক দুইবার দেখেন কিনা? দাড়ান আমি পিক দেখাই।নিচের পিকটায় আপনি আমার ভেরিফাই করা আইডি গুলার ফল্ডার দেখতে পাচ্ছেন। এখানে আপনি আমার ভেরিফাই করা ১৮ টা আইডি এর ফল্ডার দেখতে পাচ্ছেন।
Image-4দেখেন আমি For kawser এর ফোল্ডারটায় ডুকতেছি।
Image-51লাল রেখার ভেতরের ফোল্ডারগুলা হল অই পিক গুলা যেগুলা আমি identify করেছি যে এটাই আসলে অই নির্দিস্ট  ব্যক্তির পিকচার আমি নামও লিখে রেখেছি। একটা সময় দেখবেন যে একি পিক বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আসতেছে।দাঁড়ান বিষয়টা খুলে বলি।
দারান ! আমি যে কোন একটা ফোল্ডার খুলি। (আপনারা শুধু দাঁড়ায়ে থাকেন ! হা হা হা হা :P )
আমি jahid ahmed এই ফোল্ডারটা খুললাম ।একি ফোল্ডারের ভিতরের অন্য পিকটাও খেয়াল করেন ।
Image-6কি বুঝলেন । বলেন তো !
হা , একটা সময় আপনি দেখবেন এভাবে একি পিক ভিন্ন আরো দুটি পিকের সাথে দেখাবে। এখন বুঝবেন কি ভাবে যে এই পিকটা আসলে এই নামের লোকটার । আপনার ভাজ্ঞ ভাল থাকলে ৫ টার ৫ টা আপনি আন্দাজে ঢিল মারলে হয়েও যেতে পারে বাট এটা অনেক রেয়ার।
দাঁড়ান দেখাই ।
একটু photo editing করতেছি । না না দাড়ায়েন না ।বসে বসেই দেখেন ।
Image-7এখানে আমি photo edit করে দুই পিককে এক সাথে করলাম। আর লক্ষ করেন , দেখবেন, এখানে একটা নাম কমন। মানে দুই জাগায়ই একি নাম আছে। অর্থাৎ এইটাই অই ব্যক্তির নাম। এখন বুঝতে হবে যে এই ৬ টা পিকচারের এর নামি কিন্তু জাহিদ আহমেদ। বুঝলেন! আমি আমার হাতে অন্য ফোল্ডার গুলা খুলে দেখাই ।
Image-8পিক গুলা বড় করেন। অন্য আরেক ফোল্ডার দেখাই ।
Image-9আরেকটা
Image-10  এইটায় পিকচারের সেইম বাট নাম ভিন্ন ভিন্ন।
Read more ...

Sunday, November 17, 2013

MyFreeLife: "ফ্রিল্যান্সিং" রাতারাতি বড়লোক হবার সর্টকার্ট রাস্তা নয়!

Julianna | 2:16 AM | Be the first to comment!
যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন, সেদিন থেকে আপনি আপনার, আপনার নেই কোন ধরা বাধা পেশা। আপনি স্বাধীন এবং আপনার উন্নতি আপনার দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি বিপ্লব, আধুনিক যুগে নিজেকে উচু করে তোলার একটি নতুন পদ্ধতি। আজ থেকে বহু বছর আগে ইংল্যান্ডে শিল্প বিল্পব হয়েছিল, কিন্তু আজো নতুন প্রজন্ম সেই দিনটির কথা স্মরন করে।এখন থেকে বহু বছর পরের প্রজন্ম ঠিক তেমনি করে স্মরন করবে ফ্রিল্যান্সিং বিপ্লবের কথা। ২০১১-২০১২ সালটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়ের জন্য,তাদের মনে ২য় কোন ভাবনা আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে অনেকে এটাকে টাকা আয়েরর সরল পথ হিসেবে অভিহিত করে।
চলুন আজ থেকে ১০ বছর আগের বাংলাদেশে ফিরে যাই,কয়টা কম্পিউটার ছিল বাংলাদেশে? হাতে গোনা শ’খানেক? কিংবা আরো কম/বেশি। তখন যুব সমাজের মনে প্রশ্ন জাগতো পড়াশোনা শেষ করে একটা ভালো চাকরি করবো। কেউ ডাক্তার কেউ ইঞ্জিনিয়ার হত। অনেক সময় ছোট একটি চাকরি করেও ভালোই দিন কেটে যেত। তো ২০১২ সালের যুবক সমাজের মনে কি প্রশ্ন জাগে? ডাক্তার/ ইঞ্জিনিয়ার হয়ে টাকা আর টাকা ইনকাম ? নাকী অন্য কিছু ? প্রযুক্তির যতই কাছে যাচ্ছি ততই আমরা সর্টকার্ট হয়ে যাচ্ছি। কাজে কর্মে,যাতায়াতে কিংবা বিনোদনে। কিন্তু একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকরি করলে কি বিনোদনের সময় পাবেন? সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা বাজার আগে বাড়ি গিয়ে বিশ্রামের চিন্তা? ইম্পসিবল। বসের গাল মন্ধ না শুনলে সেটা কি চাকরি হল? মাস শেষে অফিসের ম্যানেজারের রুমের সামনে গোরাগোরি ছাড়া মাইনে নিবেন? অসম্ভব।
আপনার কি ইচ্ছে করে না বাসায় বসে গরম কপিতে চুমুক দিয়ে বসের ঝাড়ি না খেয়েই অফিস করতে ? কিংবা সকাল বেলা চাকুরি করে বিকেল বেলা পার্কে গিয়ে সময় কাটাতে ? সপ্তাহের যে কোন দিন পরিবার পরিজন নিয়ে ভ্রমনে যেতে ? যদি ইচ্ছে থাকে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এ আসুন। ভালো কথা,আরাম আয়েশ এর কথা শুনে এই পথে আসলেন ? তো করবেন টা কি ?আপনার যোগ্যতা কি ? বিকম/এমবিএ কিংবা ডাক্তার ? অনলাইনে বসে ডাক্তারি করবেন ? হয়েছে আপনি রুগি মেরে ফেলবেন।তো আপনার প্রথমেই জানা দরকার অনলাইনে কি কি কাজের ক্ষেত্র আছে ।
আমি এই পথে আসার আগে আপনাকে ৫টি প্রশ্ন করবো ,আগে নিজেকে নিজে সেই প্রশ্ন করুন তার উত্তর দিন:-
১. আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি?
২. ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
৩. আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
৪. আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি ?
৫. আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
আমি কেন বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ যাচ্ছি? :
আপনার বর্তমান পেশায় আপনার বেতন কম,পদোন্নতি হচ্ছে না,পদোন্নতির ভবিষত সুযোগ নেই,আমি এই পেশায় আগ্রহী নই,আমি অফিসের নিয়ম কানুন মেনে চলতে পারছি না। যদি এই হয় আপনার উত্তর তবে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এ স্বাগতম।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি কি আমার বর্তমান পেশার প্রতি যত্নবান?
দরুন আপনি বর্তমানে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা,আপনি একটু স্বাধীন ভাবে চলার জন্য ব্যাংক এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ? ভুল সিব্ধান্ত নিবেন না কারন আপনার দক্ষতা হিসাব নিকাশে অন্য কিছুতে নয়। আপনি আপনার বর্তমান পেশাকে সম্মান করেন,এবং কাজটি আপনার জন্য সহজ অথচ মাইনে কম, তো আপনি কি বেশি আয়ের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ নামবেন ? টাকা তো পরের কথা আসল কথা হচ্ছে আপনি তো এই কাজে পারদর্শী নন। তাই আমি বলবো আপনি যে কাজটি ভালো পারেন সেটাই করুন,হোক না কয়টা টাকা মাইনে কম বা বেশি।
আমি কি নিজের ভুল নিজেই ধরতে পারি?
এই পেশায় ২/৪টা ভুল করবেন এটা নিশ্চিত,তবে আপনি যদি বাসায় বসে কাজ করেন তবে আপনার ভুলগুলো সংশোধনের জন্য কি আপনি প্রস্তুত ? যদি নিজের ভুল নিজে ধরতে না পারেন তবে আপনার জন্য এই পেশা কিছুটা ঝুকির হতে পারে। যারা ভুল করার পর অন্নত সেটা উপলব্ধি করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পেশা শুভ।
আমি কি ফ্রিল্যান্সারদের মতই আচরন করতে পারবো?
অফিসে আপনি বসের প্রতিদিন বকা খেতেন দেরিতে আসার জন্য,কিন্তু এই আচরন যদি আপনার থেকে চিরবিদায়া না নেয় তবে ফ্লিল্যান্সিং ও আপনার জন্য কল্যানকর হবে না। কারন এখানে মানুষ টিকে থাকে পার্সোনালীটি এবং দক্ষতার উপর।তাই বাজে অভ্যাশ ত্যাগ করুন।
ডিগ্রি ছাড়া ফ্লিল্যান্সিং চলবে?
আপনি যদি ডিগ্রি প্রাপ্ত হোন তবে আপনার জন্য ওয়েলকাম,বর্তমানে আগের মত আর সুযোগ নেই যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবনা শুরু করে পরে ১০ বিলিয়নের মালিক হবেন। বর্তমানে অবস্থা হচ্ছে সঠিক পথে না যেতে পারলে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাবসা করে ১০ বিলিয়নের মালিক হওয়া যাবে না। যাদের শিক্ষাগত যোগত্য নেই তাদের জন্য এই পেশা অসম্ভব,যদি স্বয়ং আল্লাহ আপনাকে কোন বিশেষ জ্ঞান না দিয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য এই পেশা উপযোগী নয়। কেননা এখানে আপনাকে ভিন্ন ধরনের একটি সমাজে উপস্থিত হতে হবে,যার সাথে আপনি সম্পূর্ণ অপরিচিত।তাই আমি বলবো আগে শিক্ষাগত যোগত্য অর্জন করুন এবং পরে পেশায় আসুন। এই পেশায় আসতে হলে আমর কি কি যোগ্যতা প্রয়োজন ?: প্রথমত আপনাকে স্কুল/কলেজের/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করতে হবে।হতে পারে তা হাতে কলমে শিক্ষা কিংবা বই মুখস্ত করে শিক্ষা,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করতেই হবে।
২য় কথা হচ্ছে ফ্লিল্যান্সিং পেশায় আপনি যে কাজটি করতে চাইছেন তার সম্পর্কে শিক্ষা লাভ।যদি তা হয় চিত্রাংকন কিংবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট তবে সেই বিষয়ে আপনাকে শিক্ষাগ্রহন করতে হবে। আমি কিন্তু ডিগ্রি বলতে শুধু নামকরা প্রতিষ্ঠানের বড় বড় সার্টিফিকেটের কথা বলছি না,যে কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে,তবে আপনাকে শিক্ষা গ্রহন করেই এই পেশায় আসার অনুরোধ করছি।
আমার রুম মেট প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা আয় করে,আমিও তার সাথে যোগ দেব ? :
ধরুন আপনি ইংরেজীতে অনার্স করেছেন এবং ইংরেজী অনেক ভালো জানেন। আপনার বন্ধু মার্কেটিং কিংবা হিসাব বিজ্ঞানে অনার্স করেছে। এখন আপনি করেন কোন কলেজে ইংরেজী বিষয়ে শিক্ষকতার চাকুরি। আর আপানার বন্ধু করে শেয়ার বাজার বিজনেস। আপনি চাইলেন আপনার জমানো টাকা দিয়ে তার সাথে শেয়ার বিজনেস শুরু করবেন,এবং শেয়ার বাজারে আপনার ১ লক্ষ টাকাও বিনিয়োগ করলেন। ১ মাস বাধে আপনার ১ লক্ষ টাকা লস হলো,এবং আপনি শেয়ার বাজারের সামনে লাঠি নিয়ে অবস্থান করলেন।আপনার ধারনা সব দোষ শেয়ার বাজারের।
কিন্তু আসল ব্যাপার হচ্ছে কিভাবে শেয়ার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় আপনি তা জানেন না,কথন কোন প্রদক্ষেপ নিতে হয় আপনি তাও জানেন না। কেননা শেয়ার বাজার সমন্ধে আপনার কোন ধারনা নেই,আপনি ইংরেজীতে অনেক পারদর্শী তাই বলে শেয়ার বাজারে আপনার লাভ হবে তা নয়।আপনারই বন্ধু শেয়ার বাজারে লাভ করতে পেরেছে কারন তিনি শেয়ার বাজার সমন্ধে অনেক ভালো বুঝেন,তিনি এই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেছেন সে জন্য। তাই অন্যকে দেখে তার পেশায় ঝুকে পড়বেন না,আপনি যা ভালো পারেন তাই করুন । আর পেশা বদলাতে হলে সেই পেশার সমন্ধে আগে অবগত হোন,ট্রেইনিং গ্রহন করুন। না ঝুঝে,না জেনে,যেখানে সেখানে নিজেকে পরিচালিত করবেন না। ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে নিতে হলে আগে ফ্রিল্যান্সিং এর উপর খোজ খবর নিন,অভিজ্ঞদের থেকে পরামর্শ নিন প্রয়োজনে প্রশিক্ষন নিন।
আমি তো ফিজিক্স এর ছাত্র ফ্রিল্যান্সিং কি আমাকে দিয়ে হবে?
আপনি কিসের ছাত্র তা দেখার বিষয় নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কোন বিষয়ে আগ্রহী এবং দক্ষ। আপনি যদি ফিজিক্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন কিন্তু আপনি আইটি সেক্টরে অনেক আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আমি বলবে আপনিও এই পেশায় আসতে পারেন।
কেননা আপনার সফলতা নিশ্চিত ,যেহেতু আপনি এই পেশার প্রতি আগ্রহী। তবে আগের কথা হচ্ছে এই যে আপনাকে উপযুক্ত শিক্ষা লাভ করতে হবে এবং তারপরেই ফ্রিল্যান্সিং এ প্রবেশ করবেন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

প্রমোশন লাগবে ? আগে এগুলো করুন:
১. দায়িত্বের অবহেলা নয়: আপনাকে কেউ hire করেছে তার একটি কাজ করে দেওয়ার জন্য,অথচ সে আপনাকে কাজের সময় পেলো না,তবে প্রমোশন হবে নাকী ডিমোশন হবে ?
তাই কাজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি যত্নশীল হোন।
২. কাজ নির্বাচন করুন; ক্লায়েন্ট আপনাকে কি কাজের জন্য hire করেছেন তার সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা নিতে হবে এবং সেই কাজটি আপনি পারেন কিনা তা নিশ্চিত হোন।
৩. কাজ না করে লোক বলে বেড়াবেন না: কোন কাজ শেষ করার আগে লোক বলে বেড়াবেন না ।
৪. আপনার কতটুকু বহনের ক্ষমতা আছে:এক সাথে কতটুকু কাজ আপনি করতে পারবেন তার উপর অনুমান করেই কাজ নিন,ওভার লোড নিবেন না।তাতে কোন কাজই সময় মত শেষ করতে পারবেন না।
আমার কাজের মূল্য কত ?
আমি যে কাজ করি তার জন্য ক্লায়েন্ট এর কাছে কত টাকা চাইতে পারি?
১. নিজেকে অযোগ্য মনে করে কাজের মূল্য খুব কমাবেন না
২.আপনি কাজটি একা করতে পারবেন নাকী অন্য কাউকে সাথে নিবেন,তবে সে হিসেবে টাকার ইষ্টিমিট করুন
৩.নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে ভালো কাজ অল্প দামে করবেন না
৪.আগামীতে আরো কাজ পাবার আশায় কারো কাজ খুব কম দামে করবেন না।
৫.ক্লায়েন্ট কে বোকা ভেবে কোন কাজের মূল্য খুব বড় অংকের চাইবেন না।
৬.আপনার প্রাপ্য থেকে কখনো ডিসকাউন্ট দিবেন না
কাজ নিতে গেলে যে সকল বাক বিতর্ক প্রায়ই হয়:
যা আপনাকে ক্লায়েন্ট বলতে পারে-
“ এই কাজের জন্য আমরা ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করে ফেলছি.”
তার মানে ক্লায়েন্ট আপনাকে বলতে চাচ্ছে যে তারা আপনাকে যে কাজের জন্য নিতে চাচ্ছেন সে কাজটি তারা এর আগেও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়েছেন,এবং অনেক অর্থ খরচ করেছেন।
“ আপনি যে টাকা দাবি করছেন,তার অর্ধেক দামেই আমাদের আগের কর্মীরা কাজ করেছেন“
এখন আপনি আপনার ক্লায়েন্ট এর কাছে একটা টাকার পরিমান চাইবার পরে সে আপনাকে বলবে যে এর আগে তারা অনেক সস্তায় কাজ করিয়েছেন।
“ আমাদের এখানে আপনার দীর্ঘদিন কাজ করার সুযোগ রয়েছে ”
আপনাকে লোভ দেখানো হচ্ছে যে আপনি কিছু টাকা কম নিলে তারা আপনাকে অনেক দিন তাদের কাজে রাখবে
“ আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা দেখতে চাই ”
আপনি তাদের কাজটি করতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে ধারনা পেতে তারা আপনার কিছু সদ্য শেষ করা কাজের নমুনা দেখতে চাইবে।
“ আপনাকে আমাদের সাথে সময় মেনে কাজ করতে হবে ”
আপনি যে দেশেই থাকুন না কেন ক্লায়েন্ট চাইবে তার সুবিদা মত আপনাকে কাজে পেতে,তাই একটা সময় নির্ধারন করে নিবে।
“আপনিই প্রথম,যাকে আমি নিজে থেকে hire করেছি”
তার মানে ক্লায়েন্ট বলতে চাইছে,তার কাছে আপনাকে হয়তো পছন্দ হয়েছে অথবা যোগ্য মনে হয়ছে।
“আপনার কাজের মূল্যায়ন করেই আপনার সাথে আগাবো”
এখন আপনাকে অগ্রিম তাদের সাথে কাজ কন্টিনিউ করার একটা প্রসেস বলে দেওয়া হয়েছে।
ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন ! কি করবেন ?
ANGER !
জেনে নিন ANGER এর পূর্ণ রুপ আসলে কি
A=Acknowledge= স্বীকার
N=Nod = নড়া
G=Guide= গাইড
E=Execute= সম্পাদন
R=Retreat= পশ্চাদপসরণ
আপনার ক্লায়েন্ট রেগে গেছেন এটা কোন ব্যাপার নয়,আপনি ক্লায়েন্ট সমন্ধে কি চিন্তা করছেন তাও ব্যাপার নয় আসল কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে এটা হ্যান্ডেল করবেন। এবার আপনিও রেগে গেছেন ? একটাই সমাধান চুপ করে বসে থাকুন,নো টক
একই কাজের রিলেটেড কয়েকটা কাজ শিখে রাখুন
মনে করুন আপনি একজন ডাক্তার,আপনি কারো পেট কেটে তার টিউমার অপারেশন করেছেন,তার পেটে কেটে দেখলেন যে তার কিডনির ও সমস্যা আছে,এখন আপনি কি করবেন ?তার টিউমার এর সমস্যা সমাধান করে তার পেট সেলাই করে দিবেন এবং অন্য ডাক্তার এনে আবার তার পেট কেটে কিডনির সমস্যা সারাবেন ? এক পেটে কত সেলাই করবেন ? রুগী কি বাচবে ? আপনার যদি কিডনির সম্পর্কে ধারনা থাকতো তবে এই অপারেশনে ২টি সমস্যার সমাধান করে পেলতে পারতেন।
কেন এই উদাহরন দিলাম:
মনে করুন আপনি নিজেকে ওয়ার্ডপ্রেস/জুমলা এক্সপার্ট পরিচয় দেন কিংবা মনে করেন। আপনাকে যদি আপনার ক্লায়েন্ট বলে যে আপনি আমাকে সাইটের মধ্যে অমুক ফিচার টি এড করে দিন। তখন আপনি কি করবেন ? তার মানেই হলো ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা জুমলা জানলেই আপনি ওয়েব পরিপূর্ণ নন। আপনাকে তার পাশাপাশি অন্য কাজগুলো আয়ত্ব করে নিতে হবে।ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে প্লেইন কোডিং,সিএমএস,সিকুরেটি এইসব কিছুই জানতে হবে।
যাদের প্রতি মুহুর্তে টাকা উপার্জন প্রয়োজন তারা এই পেশার আসবেন না:
ফ্রিল্যান্সিং এমন একটা পেশা যার ভবিষ্যত কি হবে তা কেউ বলতে পারবে না,বর্তমানে যে কাজটি বেশি জনপ্রিয় এবং চাহিদা আছে আগামী দিনে তা কি হবে তা কেউ জানে না। এখানে প্রতিদিন কিন্তু কাজ পাবেন তাও নয়,এটি যেমন স্বাধীন পেশা তাই এখানে সব সময় কাজ পাবেন না।এটাকে সিজনাল ও বলতে পারেন,এখানে অনেক প্রতিযোগী তাই আপনাকে কে ভাবে গড়ে তুলতে হবে। যাদের মাস পুরালেই অবশ্যই নির্দিষ্ট অংকের টাকা প্রয়োজন তারা এই পেশায় আসবেন না। কেননা এখানে মাস শেষে কতটাকা ইনকাম হবে তা মাসের শুরুতে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আপনার উচিত আপনার চাহিদা অনুযায়ী চাকুরি/কাজ কার এবং যাতে আপনার বাজেট ফিক্সড হয়। যাদের সংসার চালাতে মাসে নূন্যতম একটা টাকার অংক(আবশ্যক) লাগবেই তারা এই পেশায় না এসে কোথাও চাহিদা অনুসারে কাজ নিন।আমি তাদের কথাই বলছি যাদের সংসারে ব্যাকাপ দেবার মত কেউ নেই তাদের। কেননা এখানে কোন মাসে আপনি অনেক টাকা আয় করবেন আবার কয়েকমাস কোন আয় হবে না,সে ক্ষেত্রে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তবে আপনি চাইলে চাকুরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং টাকে অপশনাল হিসেবে নিন,তাহলে আপনার আর কোন রিক্স থাকবে না।
ব্লগে/পত্র পত্রিকায় সবাই বলে ফ্রিল্যান্সিং সহজ,অথচ আপনি বলছেন অনিশ্চিত !
কোট টাই লাগিয়ে আপনাদের সামনে ভাষন দিতে আসিনি,কিংবা আমার পিএস আমাতে কাগজে লিখে দিয়ে যায়নি মহান ভক্তা হবার বিশেষ ভাষন। আমি যা বলছি এবং লিখছি তা জীবনমুখী,এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই। কোন সফল কাহীনির বাংলা অনুবাদ করে লিখছি না, আমরা বাংলাদেশীরা সব সময় ইন্টারনেটে বসে বসে সফল কাহীনি খুজে,তাই আমরা সমস্যা গুলো খুজে পাইনা। শতকরা ১০ ভাগ মানুষ সফল হয়,আর বাকী ৯০ ভাগ মানুষ ব্যার্থ হয়,কারন তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটতে হাটতে মাটিতে হোচড় খায়,আপনি যদি সফল হতে চান তবে সঠিক পথে ধরে এগোতে হবে।
সবাই বড়লোক হতে বলে,কিন্তু বড়লোক হবার সঠিক রাস্তা কেউ দেখায় না
ব্লগ/নিউজ পেপার/পরিবার/বন্ধু বলেন ,কেউ আপনাকে বড়লোক করে দিতে পারবে না,কেউ জানেও না কিভাবে বড়লোক হতে হয়। মানুষ আস্তে আস্তে কোন একদিন অপরের চোখে বড়লোক হয়ে উঠে,তবে তার জন্য কতটা পথ অতিক্রম করতে হয় তা গননার প্রয়োজন নেই।আপনাকে কেই জীবনে বড় হতে বললেই ভাববেন না যে সে মহা অপরাধ করেছে আসলে সে আপনার মাথায় বড়লোক হবার ভাবনা ডুকিয়ে দিয়েছে এখন বাকী কাজ আপনার। ভাইয়া আমি অনলাইনে আয় করতে চাই,ইনকাম করতে চাই: আমার ভাইয়েরা,আপনাদের অনুরোধ করবো আপনারা যারা ঘরে বসে আয় করতে চান তারা আগে কোন একট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপরে প্রশিক্ষন গ্রহন করুন। মনে রাখবেন দক্ষ হলে যে কোথাও তার কাজ আছে আর দক্ষ না হলে তার স্থান কোথাও নেই।
অনলাইনে আয় করে বড়লোক হোন !
অনেক সময় এই ধরনের শিরোনামের কিছু লেখা চোখে পড়ে, আসলেই কি টাকা উপার্জন এতটা সহজ ? রাতারাতি বড়লোক হবার কোন সর্টকার্ট রাস্তা নেই(ভালো পথে)।ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটা সময়উপযোগী পেশা,এখানে আপনার নিজেকে প্রমোট করার সুযোগ নিজের হাতেই,তবে আপনাকে একটা ভালো পজিশনে যেতে হলে প্রচুর কায়িক শ্রম দিতে হবে। আজকে ফ্রিল্যান্স শুরু করে কালকে বড়লোক হয়ে যাবেন সেটা কথনো হবার নয়। একটা কাজ করতে করতে যখন আপনি সেই কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখনি আপনার প্রমোশন।অপরের কথায় আত্বভোলা না হয়ে নিজে বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সবাই ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আসার জন্য উ্যসাহ দেয়,আমি কেন নেগেটিভ কথা বলছি ?
পৃথিবীতে অনেক কঠিন সত্য আছে তাই।সব কিছুর একটা বাজে দিক আছে,যদিও এই পেশার সমস্যাগুলো ততোটা বাজে নয় তবুও জেনে শুনে বিষ পান করাও শ্রেয়।
টিকা:
বাংলা টেকনোলজী ব্লগ গুলোর মডারেশন প্যানেলকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে যাতে কেউ ভুল ব্যাখ্যা না দিয়ে লেখা না প্রকাশ করে। অনেকে রাতারাতি টাকা আয়ের পথ দেখায়, পিটিসি কিংবা ফেইসবুক লাইক দেয়ার জবের কথা বলে। আসলে এই সব কাজের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক লেখাগুলোকে ভালো করে যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমি যে সব ভালো কথা বলছি তা কিন্তু নয়। শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত মতামত আপনাদের সামনে প্রেজেন্ট করছি। সবচেয়ে উত্তম কাজ হবে আমার লেখা থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বের করতে পারেন কিনা সেটাই। আমার লেখায় ভালো কিছু থাকলে তা গ্রহন করুন আর যা আপনার মতের সাথে মিলছে না তা বর্জন করুন।
Read more ...

MyFreeLife: অনলাইনে আয় করার দশ উপায়

Julianna | 2:15 AM | Be the first to comment!
তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছ? তাহলে আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে।
১। প্যাড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।
২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।
৩। পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।
৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।
৫। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।
google.com/adsense
৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। প্যাড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় প্যাড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।
৭। এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবে আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারো।
৮। ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।
৯। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।
১০। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।
অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবে?
১. চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।
২. পেপ্যাল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।
৩. পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে ওডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।
৪. মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি
মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।
৫. এলার্টপে
এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো।
৬. ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি
পেপ্যালের মতোই ই-গোল্ড।
আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?
এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।
Read more ...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.