Saturday, December 21, 2013

বর্ষসেরা ১০ প্রযুক্তি পণ্য

Julianna | 2:05 AM | Be the first to comment!


শেষ হচ্ছে ঘটনাবহুল বছর ২০১৩। বছরজুড়ে বাজারে এসেছে নতুন নতুন সব প্রযুক্তি পণ্য। সম্প্রতি বর্ষসেরা ১০ প্রযুক্তি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম ম্যাগাজিন।





০১ গুগল ক্রোমকাস্ট

এটি গুগলের একটি পোর্টেবল ডিভাইস। পেনড্রাইভের মতো ছোট্ট এই ডিভাইসটি টেলিভিশনের এইচডিএমআই পোর্টে যুক্ত করে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটার থেকে মিডিয়া সম্প্রচার করা সম্ভব। এর বিল্ট-ইন অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে বেশ কিছু। দেখতে ক্ষুদ্র হলেও অসম্ভব শক্তিশালী যন্ত্রাংশটি ব্যাবহার করে সাধারণ টিভির পর্দায় এইচডি কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি দেখা যায়। এতে রয়েছে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, গুগোল প্লে মুভি বা টিভি অথবা গুগোল প্লে মিউজিক ব্যবহার করার সুবিধা।





০২ অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড

টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের এবছরের চমক ছিল দ্রুতগতির আইপ্যাড এয়ার এবং রেটিনা আইপ্যাড মিনি। আইপ্যাড এয়ার বাজারের সবচেয়ে পাতলা আইপ্যাড। আইপ্যাড এয়ারে ১০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ সম্বলিত প্রসেসিং চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। আর রেটিনা ডিসপ্লে সম্বলিত আইপ্যাড মিনিটিতে রয়েছে ২০৪৮×১৫৩৬ রেজল্যুশনের একটি ডিসপ্লে, এটি ৬৪ বিট এ৭ চিপ দ্বারা পরিচালিত।





০৩ অকুলাস রিফট

প্রযুক্তির অগ্রগতির সুবাদে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি কথাটি এখন বেশ পরিচিত। এটি হল এক ধরনের অপটিক্যাল হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে হেডসেট। ভিডিও গেমিংয়ের জন্য তৈরি এ ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা হেলমেটের মত। এটি মাথায় পড়ে চোখের সামনে ডিসপ্লে দেখে দেখে গেমিং করা যায়। মাত্র ৩০০ ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ডিজিটাল এই হেডসেট। অর্ডার দেয়া যাচ্ছে অকুলাস ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে।





০৪ স্মার্ট ওয়াচ

প্রযুক্তির বিশ্বের নতুন ক্রেজ স্মার্ট ওয়াচ বা স্মার্ট ঘড়ি। স্মার্টফোনের প্রায় সব সুবিধা সংবলিত স্মার্ট ঘড়ি বাজারে এনেছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা সনিসহ বেশ কিছু কোম্পানি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিস বলছে, আগামী বছর হবে স্মার্ট ঘড়ির। সাধারণ ঘড়ি শুধু সময়, তারিখ প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ। স্মার্টওয়াচ যেন হাতেবাঁধা স্মার্টফোন! সময় প্রদর্শনের পাশাপাশি স্মার্ট ঘড়িতে রয়েছে ফোন কল, মেসেজ, ই-মেইল, ফেসবুক, টুইটার ব্যবহারের সুবিধা। সমর্থন করে নানা ধরনের অ্যাপ্লিকেশন। রয়েছে ব্লু-টুথ এবং ওয়াইফাই সুবিধা।





০৫ অ্যাপল আইফোন ৫এস

অ্যালুমিনিয়ামের কাঠামোর আইফোন ৫এসে রয়েছে দ্রুতগতির এ৭ প্রসেসর। এ প্রসেসরে রয়েছে দ্রুতগতিতে অ্যাপ্লিকেশন চালানো ও গ্রাফিকস-সংক্রান্ত কাজের সুবিধা। আইফোনের এ সংস্করণে ডুয়াল এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত আট মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। এতে ব্যবহৃত ক্যামেরা সেন্সরটি আইফোন ৫-এর তুলনায় ১৫ শতাংশ বড়। আইওএস ৭ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর আইফোন ৫এস থ্রিজি নেটওয়ার্কে ১০ ঘণ্টা টকটাইম-সুবিধা দিতে সক্ষম। এতে যুক্ত হয়েছে টাচ আইডি সেন্সর, যা ফিংগার প্রিন্ট শনাক্ত করতে পারে। ভারত ও চীনের বাজারে আইফোনের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই এই মডেল তৈরি করে অ্যাপল।





০৬ মাইক্রোসফট এক্সবক্স ওয়ান

এটি মূলত একটি গেম খেলার যন্ত্র। মাইক্রোসফটের নতুন এই এক্সবক্স ওয়ান পণ্যটি গেমারদের একসঙ্গে অনেক কাজ করার সুবিধা করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে গেমাররা খেলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কাজ যেমন সিনেমা দেখা, টিভি দেখা এবং গেমও খেলতে পারছেন। এক্সবক্স ওয়ানে ভয়েস অ্যাক্টিভেশন ফিচারটি যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ ভয়েসের মাধ্যমে এক্সবক্স ওয়ান চালু, এমনকি হোম স্ক্রিনেও ফিরে যাওয়া যায়। কেউ ইচ্ছা করলে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমেও এক্সবক্স ওয়ান চালাতে পারেন। নভেম্বরে বাজারে আসার প্রথম ২৪ ঘণ্টায় এটি বিক্রি হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি।





০৭ আমাজন কিন্ডল ফায়ার

আমাজন কিন্ডল ফায়ার ট্যাবলেট কম্পিউটারের নতুন সংস্করণে যোগ করা হয়েছে হাই ডেফিনিশন ডিসপ্লে, যেটা স্পষ্টতই অ্যাপলের আইপ্যাডের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ৷ এটির আকার ৮.৯ ইঞ্চি৷ আর চওড়ায় এক ইঞ্চির তিন ভাগের মাত্র এক ভাগ৷ ওজন আধা কেজির সামান্য বেশি৷ সব মিলিয়ে ট্যাবলেট কম্পিউটারের বাজারে বড় চমক হয়ে এসেছে আমাজনের কিন্ডল ফায়ারের নতুন সংস্করণ৷ এসময়ের সর্বাধুনিক ট্যাবলেট কম্পিউটার এটি৷ এতে থাকা ওয়াইফাই সিস্টেম আইপ্যাডের চেয়ে শতকরা ৪১ ভাগ বেশি দ্রুত কাজ করে৷ ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এতে খুব সহজেই ব্রাউজ, গেম খেলা যায়। আর মুভি দেখার জন্যও এটি অন্য যে কোন ট্যাবলেটের চেয়ে সুবিধাজনক৷





০৮ নেস্ট প্রোটেক্ট

সিলিকন ভ্যালির স্টার্ট-আপ নেস্ট ল্যাব তৈরি করেছে বাসায় ব্যবহারের জন্য নেস্ট প্রোটেক্ট নামের একটি ডিভাইস। এটি বাসার ভেতরের বাতাসে অনুমোদনযোগ্য পরিমাণের বেশি  ধোয়া ও কার্বন মনোক্সাইড পেলেই সংকেত দিবে। রান্না ধোঁয়া থেকেও এটি সতর্কবার্তা প্রদান করতে পারে। সে ক্ষেত্রে হাতের ইশারাতেই একে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব।





০৯ লিপ মোশন কন্ট্রোলার

কম্পিইটার চালানোর জন্য আর কি-বোর্ড, মাউস নয়। ইশারায় চলছে কম্পিউটার। এমন এক প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে লিপ মোশন নামের একটি কোম্পানি। ম্যাক ও উইন্ডোজের জন্য ছোট্টে এই ডিভাইসটির নাম লিপ মোশন কন্ট্রোলার। এটি আসলে একটি ছোট ইউএসবি ডিভাইস। যা কম্পিউটারের সামনে স্থাপন করতে হয়। এতে দুটি ক্যামেরা ও তিনটি ইনফ্রারেড সেন্সর রয়েছে। যা হাত ও আঙ্গুলের মুভমেন্ট শনাক্ত করতে পারে। এটি চালু করার পর সহজেই হাত ও আঙ্গুলের ইশারাতেই কম্পিউটারের সব কাজ করা যায়।





১০ নকিয়া লুমিয়া-১০২০

বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলে লুমিয়া-১০২০। ৪১ মেগাপিক্সেলের পিওরভিউ ক্যামেরা নিয়ে লুমিয়া-১০২০ তৈরি করেছে ফিনল্যান্ডের মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই মোবাইল ফোনের ক্যামেরার মাধ্যমে জুম ইন ও ছবি রিফ্রেম করার সুবিধা রয়েছে। উন্নত ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে উন্নত শব্দ, দীর্ঘক্ষণ চার্জ ও নিরাপদ ব্রাউজিং সুবিধা।
Read more ...

ওডেস্ক ইল্যান্স এবার একসঙ্গে

Julianna | 1:57 AM | Be the first to comment!
ওডেস্ক ইল্যান্স
অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করার জনপ্রিয় দুই ক্ষেত্র ওডেস্ক ও ইল্যান্স একসঙ্গে কাজ করবে। এর ফলে এই দুই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সব ফ্রিল্যান্সার, বায়ারের সব সুবিধা একত্র করা হবে। পুরো কাজটি এখন একটি নতুন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠান দুটি একত্রে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন এই উদ্যোগ ফ্রিল্যান্সারসহ আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত সবার জন্য আরও উন্নত সুবিধা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার ও বায়ার দুই পক্ষেরই সঠিক কাজ ও দক্ষ কর্মী খোঁজার বিষয়টি আরও সহজ হবে। পাশাপাশি বর্তমানে যে সুবিধাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মান উন্নয়নের পাশাপাশি যুক্ত হবে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য।
বিষয়টি নিয়ে ইল্যান্স কর্তৃপক্ষ জানায়, ওডেস্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ফলে সুবিধাই হবে ফ্রিল্যান্সার, বায়ারদের। পাশাপাশি মার্কেটপ্লেস হিসেবেও ভালো করা যায়।
এই দুই প্রতিষ্ঠান একত্র হওয়ায় একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বের এক কোটির বেশি ফ্রিল্যান্সার এতে কাজ করবেন। আগামী চার মাসের মধ্যেই নতুন প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হবে।
নতুন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমানে ইল্যান্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাবিও রোসাটি। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন ওডেস্কের নির্বাহী চেয়ারম্যান থমাস লেয়টন। এ ছাড়া ওডেস্কের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি সোয়ারট নতুন প্রতিষ্ঠানের কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন প্রতিষ্ঠানটি ফ্রিল্যান্সার নেওয়া, অনলাইন যোগাযোগ বৃদ্ধি, মোবাইলে ব্যবহার, দক্ষতা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে বাড়তি জোর দেওয়া হবে। নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম কিংবা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে খুব শিগগির। —ওডেস্ক ও ইল্যান্স ব্লগ অবলম্বনে
Read more ...

গুগলের রোবট সেনাবাহিনী তৈরির প্রকল্প!

Julianna | 1:55 AM | Be the first to comment!
রোবট সেনারোবট-প্রাণী, চালকবিহীন বিমান কিংবা রোবট সেনাবাহিনী এসব তৈরি করতে সক্ষম গুগল বর্তমানে গোপনে রোবোটিক্স প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি সিএনএন ও নিউইয়র্ক টাইমসের সংবাদ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে গুগলের রোবট সেনাবাহিনী তৈরির কথা।
যাঁরা হলিউডের টার্মিনেটর চলচ্চিত্রটি দেখেছেন তাঁরা ভালো করেই জানেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট মানুষের জীবনে কতখানি প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু এত দিন যা ছিল কেবল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে তা এখন বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফট ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষণা শুরু করেছে। মার্কিন প্রযুক্তি-গবেষকেরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমান যন্ত্রের সঙ্গে অনিশ্চিত এক ভবিষ্যত্ নিয়ে বসবাস করবে মানুষ। আর সেই প্রক্রিয়ায় একধাপ অগ্রসর হয়েছে গুগল। রোবট সেনাবাহিনী তৈরির সব সম্ভাবনাই গুগলের রয়েছে। শুধু এ বছরেই রোবট প্রযুক্তির আটটি প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছে গুগল।
গুগল সম্প্রতি দ্রুতগতির রোবট ‘চিতা’র নির্মাতা বোস্টন ডাইনামিকস নামের প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে গুগলের রোবট সেনাবাহিনী তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে নানা আলোচনা। বোস্টন ডাইনামিকস মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রোবট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। গুগল রোবট নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান কিনলেও কত টাকায় এবং কী ধরনের প্রকল্পের জন্য এ লেনদেন করছে, সে বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি।
এদিকে, বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেট কোম্পানির জন্য রোবট নির্মাতা প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান কেনার ব্যাপারটা বেশ কৌতূহল জাগিয়েছে।
প্রযুক্তি-বিশ্লেষকেরা বলছেন, গুগলের যে ধরনের প্রযুক্তি-সক্ষমতা ও দক্ষ প্রকৌশলী রয়েছে তা দিয়ে সহজেই ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরি করা সম্ভব। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মার্কিন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামীতে রোবট, ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের যুগ আসছে। গোয়েন্দাগিরি, জরুরি অবস্থায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া, দুর্গম স্থানে সহজে যোগাযোগ সব কাজেই রোবট ও ড্রোনের ব্যবহার বাড়বে। তবে প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস অনলাইনে পণ্য ক্রেতাদের কাছে সহজে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ড্রোন ব্যবহারের কথা জানানোর পর এ নিয়ে গুগলের প্রসঙ্গটিও উঠে এসেছে।
রোবট সেনা 

গুগল ও রোব
গুগল এর মধ্যেই রোবট গবেষণায় জোর দিয়েছে। গত কয়েক বছরের মধ্যেই নতুন প্রজন্মের রোবট তৈরি করতে পারে এমন সাতটি প্রতিষ্ঠান কিনেছে গুগল। গুগলের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড যাঁর হাত দিয়ে এসেছিল সেই অ্যান্ডি রুবিন এই রোবট প্রকল্পের প্রধান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।সম্প্রতি গুগলের রোবট নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গুগলের কর্মকর্তা অ্যান্ডি রুবিন জানিয়েছেন ড্রোন নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনার কথা। অবশ্য, গুগল তাদের রোবট নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানালেও এ নিয়ে ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার কথা কঠোরভাবে গোপন রেখেছে। বিষয়টি নিয়ে একেবারেই মুখ খুলতে নারাজ তারা। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা রোবট প্রকল্পে গুগলের বিনিয়োগ দেখে ধারণা করছেন আগামী এক দশকের মধ্যে নতুন কিছু উপহার দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রসঙ্গে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ডিজিটাল ব্যবসাবিষয়ক গবেষক অ্যান্ড্রু ম্যাকাফি জানিয়েছেন, গুগলের ক্ষেত্রে রিটেইল ব্যবসা ও পণ্য উত্পাদনের ক্ষেত্রে রোবোটিক্স প্রযুক্তিতে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর।
গুগলের রোবট প্রকল্প নিয়ে অবশ্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ল্যারি পেজ বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি সম্প্রতি গুগল প্লাসে এক বার্তায় জানিয়েছেন,  ‘অ্যান্ডি রুবিনের পরবর্তী প্রকল্প নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত ও উত্তেজিত। অ্যান্ড্রয়েড যেমন বিস্ময়কর একটা ধারণা ছিল তেমনি রোবট নিয়েও পরবর্তী প্রকল্প বিস্ময়কর ও সফল হবে।’


আদতে কী করতে যাচ্ছে গুগল?রোবট সেনাএ বছর বোস্টন ডাইনামিকসসহ আটটি রোবট নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান কেনার পর প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন রোবট নিয়ে বড় ধরনের পরিকল্পনা করছে গুগল। কিন্তু কী সেই পরিকল্পনা?
গুগলের ‘এক্স ল্যাব’ নামে একটি গোপন পরীক্ষাগারের অস্তিত্বের কথা প্রায়ই শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, গুগলের এক্স ল্যাবে নতুন কিছু তৈরি হচ্ছে। এই গোপন পরীক্ষাগার থেকেই এসেছে স্মার্টগ্লাস, স্মার্ট কার। সেখানে স্পেস এলিভেটরের মতো ধারণা নিয়ে কাজ চলছে বলেও ধারণা করা হয়। অবশ্য মার্কিন গবেষকেরা ধারণা করছেন, রোবট নিয়ে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনা রয়েছে গুগলের। সেই পরিকল্পনা বিষয়টি জানতে হলে নজর দিতে হবে গুগলের বিশেষত্বের দিকে।
প্রযুক্তি-বিশ্লেষক কেভিন ও’রেইলি জানিয়েছেন, গুগল সম্ভবত উন্নত সেন্সর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে চায়। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যেসব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত সেন্সর ও সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে সেগুলোকেই কিনেছে  গুগল।
এ গুগল নতুন ধরনের ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান তৈরি করতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। ড্রোনের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে অ্যান্ডি রুবিন গুগলের চালকবিহীন গাড়ির প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তাঁর মতে, ২০০৯ সালে গুগল যখন স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বা চালকবিহীন গাড়ি প্রকল্প গ্রহণ করেছিল তখনো এ বিষয়টিকে অনেকেই বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি বলেই ভাবতেন। কিন্তু এখন এটি মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। রুবিন জানান, বুদ্ধিমান রোবট তৈরির ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ও সেন্সরের উন্নয়ন করার প্রয়োজন পড়বে। একদিন এ ক্ষেত্রটিতেও গুগল নজর দেবে বলে আশা করছেন রুবিন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘প্রাইম এয়ার’ নামে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের অভিনব ব্যবহারের কথা প্রকাশ করেন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার মার্কিন প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। ক্ষুদ্র চালকবিহীন এ ড্রোনকে বলা হচ্ছে ‘অক্টোকপ্টার’ যা ছোট ছোট পণ্যের প্যাকেট মাত্র আধ ঘণ্টায় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বোস্টন ডাইনামিকসকে কিনে নেওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছে নতুন কোনো স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করবে গুগল। গুগলের সম্ভাব্য পরিকল্পনা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না পেলেও একটি বিষয় পরিষ্কার যে, গুগলের অধীনে রোবট সেনা তৈরির একটি শাখা যুক্ত হয়েছে। তবে আর যা-ই হোক গুগলের করপোরেট নীতিমালা হচ্ছে ‘ডোন্ট বি ইভিল’। গুগলের কাছ থেকে ইতিবাচক কিছু আশা করতে দোষ কী?
Read more ...

Tuesday, December 17, 2013

ধ্বস আসতে পারে গেমিং শিল্পে

Julianna | 11:08 PM | Be the first to comment!

(প্রিয় টেক) প্রতিনিয়তই আমরা নানা প্রকারের ধ্বংসের খবর দেখে অভ্যস্ত। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস, শেয়ার বাজারে ধ্বস এমন খবর প্রতিনিয়তই আমরা দেখে আসছি। সেখানে ভিডিও গেমিং শিল্পেও ধ্বস এই খবরটির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ হতেই পারে। চলুন দেখা যাক এই ধারনাটির জন্মের পিছনের পাঁচটি কারণ-
নেতৃত্বে গড়মিল

গেমিং এর মূলধারার সাথে যুক্ত নয় - এমন মানুষরা গেম ডেভেলাপারদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। নেতা সবচাইতে ভালো বোঝেন, এই বিস্বাসেই দলের বাকিরা কাজ করে থাকেন। কিন্ত সবাই সবকিছু পারবেন - সেটিও সত্যি নয়। যিনি গেম বানানোর ব্যাপারে পারদর্শী তিনি ব্যবসায়িক ব্যাপারগুলো বুঝবেননা সেটাই স্বাভাবিক। ঠিক সেরকম একজন ব্যবসায়ী গেম ডিজাইন বা তৈরির ব্যাপারে খুটিনাটি বুঝবেন সেটা আসা করাটা ভুল হবে। অথচ গেম বানানোর কোম্পানিগুলো ঠিক এই ভুলটিই করছে, তারা ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারীদের ডেভেলাপমেন্ট টিমের লিডার হিসেবে বসাচ্ছে। এর ফলাফল হিসেবে তাদের ক্রিয়েটিভ ডিজাইনের নির্দেশনা নির্ভর করছে, অর্থাৎ গেমের ডিজাইন করছে তারাই, যারা কখনো গেম বানাননি এবং মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরেছেন সেটির ব্যবসায়িক দিকগুলোকেই। একই ব্যপার হলিউডের সিনেমার ক্ষেত্রেও ঘটছে।
ব্যবসায়ীক সাফল্যের সাথে ক্রিয়েটিভির সম্পর্ক অনেকটাই উল্টো। অ্যাভেঞ্জারস মুভিটি চরম মাত্রায় ব্যবসায়ীকভাবে সফল হলেও সেটি ক্রিয়েটিভিটির দিক থেকে তেমন নতুন কিছুই দেখাতে পারেনি। সেভাবে আমরা কল অফ ডিউটি, ব্যাটলফিল্ডকে বলতে পারি ব্যবসায়ীকভাবে সফল কিন্তু সেটি কোনও ভাবেই লাস্ট অফ আস, আনচার্টেড এমনকি বায়োশকের মত ক্রিয়েটিভ নয়। এর চাইতে ভয়াবহ ব্যাপারটি হল ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারীদের টিম লিডার করার ফলে তারা বার বার একই ফরমুলা ব্যবহার করবেন। তাদের নতুনত্বের প্রয়োজন নেই, কম বাজেটে বেশী লাভ হলেই তারা সন্তুষ্ট।
এভাবে চলতে থাকলে নতুন কোনও কনসেপ্ট নিয়ে কেউ কাজ করবেনা, ফলে আমরা দিনের পর দিন একই কাহিনীর সিকুয়েল দেখতে পাবো, এখনকার চাইতেও বেশী। মাত্রই তুমুল জনপ্রিয় গেম “ডুম” এর ২০তম জন্মদিন গেলো, অথচ দেখুন সেটির সিকুয়েল মাত্র তিনটি। সেখানে এই মুহূর্তের ব্যবসায়ীকভাবে সফল গেম কল অফ ডিউটির সিকুয়েল ১০টি চলে এসেছে, সেটির থামার কোনও লক্ষন নেই। নিড ফর স্পিড এর কথা বাদই দেয়া হলও। এই দুটি গেমের ব্যপারে সবার একটিই মতামত, নতুন মোড়কে পুরাতন পন্য।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি গেমের থেকে সর্বোচ্চ পরিমান মুনাফা করার লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো আজকাল মূল গেমের বেশ কিছু অংশ আলাদ করে ডিএলসি করে বিক্রি করে থাকে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে আজ ক্রেতারা আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন অর্থ এক একটি গেমের পেছনে ব্যয় করছেন। এভাবে একই জিনিসের পেছনে গেমাররা আর খুব বেশীদিন ব্যয় করবেন না সেটা বোঝাই যায়।
ডেভেলপমেন্ট খরচ অত্যাধিক ফলে নতুনত্ব হয়ে পড়েছে দূরহ

আজকালকার একটি গেম তৈরির খরচ চিন্তা করাও কঠিন কাজ। ১৫-৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ খুব সাধারন একটি ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এটি শুনে সবার মনে হতে পারে এ কারনে আরও ভালো গেম তৈরি সম্ভব, আসলে ব্যাপারটি তাই। সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে যেমন অতি সন্ন্যাসিতে গাঁজন নষ্ট, তেমন গেম তৈরিতে বেশী সংখ্যক ডেভেলাপার আর্টিস্ট ও অনান্য মানুষ থাকার ফলে গেমটির ক্রিয়েটিভ দিক নষ্ট হচ্ছে। বার বার দিকভ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত বাজেটের ফলেই এই সমস্যার উৎপত্তি।
এই ব্যাপারটিও সামলে নেয়া সম্ভব ছিলো, শুধু দরকার সময়ের। যা আজকার সাংঘাতিক প্রতিযোগীতার বাজারে একেবারেই নেই। পুরনো গেম আর ইন্ডি ডেভেলাপারদের সাথে টিকে থাকার জন্যে দ্রুত গেমগুলোকে বাজারে আনতে বাধ্য হচ্ছে গেম নির্মাতারা, ফলে এই বিশাল টিমগুলো নিজেদের মাঝে বোঝাপড়া তৈরির সময়ও পাচ্ছেনা। ফলে প্রতিটি গেইমেই রয়ে যাচ্ছে প্রচুর বাগ এবংঅনান্য সমস্যা।
এর চাইতেও বড় সমস্যা হচ্ছে এই বিশাল বাজেটের গেমগুলোর ব্যয় কাটিয়ে লাভজনক করে তোলা। যেখানে কোন গেমটি বাজারমাত করবে সেটি জানার কোনও উপায় নেই - সেখানে কম্পানিগুলো নতুন কিছু না করে পুরাতন জনপ্রিয় গেমেরই সিকুয়েল আনবে - সেটাই স্বাভাবিক।
নির্মাতারা ক্রিটিকদের কাছ থেকে ভালো রিভিউ নিয়ে আসছে

একটি গেম কিনার আগে সবাই সেটার রিভিউ পড়েন। ভালো রিভিউ নাহলে গেমটি ফ্লপ করবে এমনটাই স্বাভাবিক। সেখানে নির্মাতারা অবশ্যই চাইবেন ভালো রিভিউ হোক তাদের গেমটির। সমস্যা হচ্ছে, তারা ক্রিটিকদের একপেশে রিভিউ করতে উৎসাহিত করছে। তার প্রমাণ ইতোমধ্যে বেশ কিছু গেমের রিভিউতে পাওয়া গেছে।
এর ২টি মূল কারণ বলা যেতে পারে। প্রথমটি হচ্ছে রিভিউকারীদের সাথে নির্মাতাদের নিবিড় সম্পর্ক। রিভিউ যারা করে থাকেন তারা দেখা যাচ্ছে নির্মাতাদের সাথে কাজ করছেন, তাদের সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে খুবই ব্যাক্তিগত পর্যায়ের। এমন অবস্থায় তাদের রিভিউ একপেশে হবে সেটাই স্বাভাবিক।
দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে রিভিউ স্কোর করার সিস্টেম। গ্রাফিক্স, সিনেম্যাটিক্স, গেম লেংথ এবং অনান্য বিষয়ের ওপর সবচাইতে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে যেখানে কাহিনী বা গেমপ্লের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে অনেক কম। ফলে খুব সহজেই শুধু টেকনিকাল জিনিষের জোরেই একটি গেম ভালো স্কোর পাচ্ছে।
এভাবে চলতে থাকলে মানুষ খুব দ্রুতই ক্রিটিকাল রিভিউর ওপর বিশ্বাস হারাবে, ফলে নতুন গেমের প্রতি আস্থা থাকবেনা তাদের। গেম বিক্রির ওপর চরম প্রভাব পরবে এই স্ট্র্যাটেজির।
নতুন প্রযুক্তির আগমন এবং তার অজানা প্রভাব

প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, গেমের ট্রেইলারের সাথে বা প্রথম প্রিভিউর সাথে মূল গেমের কোনও মিল নেই। অনেকেই অনুযোগ করছেন, কোম্পানিগুলো ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে গেম বিক্রি করছে, কথাটি অযৌক্তিক নয়। একপেশে রিভিউর মত এটির কারণেও ক্রেতারা গেম কোম্পানির ওপর আস্থা হারিয়ে কেনা কমিয়ে দিতে পারেন।
কেন এই ব্যাপারটি ঘটে তা এর আগের বিষয়গুলো দেখলেই বোঝা সম্ভব। বিশাল বাজেট ও টিম হবার ফলে কারও কাছেই আসলে পুরো গেমটির সব বিষয় ধারণা থাকছেনা‌। এর ওপর রয়েছে প্রতিনিয়ত বাজারের গতি বদল ও টেকনোলজির আপডেট। যেখানে একটি গেম বানাতে বেশ কিছু বছর চলে যাচ্ছে, সেখানে শুরুর ধারনাগুলো পরে অনেক বদল হবে সেটাই স্বাভাবিক - সাথে প্রকাশ হবার পর বিক্রির চাপ তো আছেই। গেমের বাজারের সাথে সাথে নতুন সব ফিচার যোগ করার চাপ সবসময় নির্মাতাদর ওপর থাকছে। সাথে রয়েছে নতুন সব টেকনোলজি যোগ করার চাপও। ফলে গেমটি তৈরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউই বলতে পারছেনা আসলে গেমটি কেমন হবে - এর ফলে শুরুতে ট্রেইলার মানুষের মনে গেমটির যে ছবিটি তৈরি করে তার সাথে পরে সেটির তেমন মিল থাকেনা। অথচ সাধারণ ক্রেতারা সেটিকে ভুয়া বিজ্ঞাপন ভেবে কেনার ইচ্ছাও হারিয়ে ফেলছেন। সত্যিকার অর্থে গেমিং জগতে আসলে কি হচ্ছে বা হবে তা বলা মুশকিল। অনেকটা অন্ধের মতন ছুটছে এখানে সকলে।
ডেভেলাপারদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ

প্রতিটি কাজেই সংস্লিষ্ট সবার ওপর বেশ অনেক চাপ পরে। কিন্ত গেম নির্মাতাদের ওপর সেটি আর সবার চেয়ে আরও বেশি। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতি সপ্তাহে তাদের ৬০-৮০ ঘন্টা কাজ করাতে হয়। অথচ এমন নয় যে তারা অনান্য কাজের চেয়ে বেশি টাকা পেয়ে থাকেন এ কাজটির জন্যে।
যেহেতু ডেভেলাপারদের অতিরিক্ত বেতনও দেয়া হয়না অথচ বেশি কাজ করতে হয় তাদের, অনেক গুনী ডেভেলাপাররা এই শিল্প ছেড়ে আরও সহজ সফটওয়্যার তৈরির কাজে হাত দিচ্ছেন। ফলে একেবারে নতুনেরাই রয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পে, তাদের কাজ দেখিয়ে দেয়ার কেউও থাকছেন না।
সর্বশেষে আমরা দেখছি গেমিং শিল্প দিন দিন ট্যালেন্ট সম্পন্ন ডেভেলাপারদের হারাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাদের শুন্যস্থান পুরন করছে ব্যবসায়ীরা - ফলে দ্রুত নতুনত্ব হারাচ্ছে এই শিল্প। এভাবে চলতে থাকলে এই শিল্পটি ধ্বংসের দিকে চলে যাবে বলেই ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ৫টি ট্রেন্ডের খুব দ্রুত পরিবর্তন প্রয়োজন।
Read more ...

উইন্ডোজ ৮.২ এর কনসেপ্ট ইউআই তৈরি করলেন এক ডিজাইনার

Julianna | 11:05 PM | Be the first to comment!
অল্প কিছুদিন আগে উইন্ডোজ থ্রেশহোল্ডে নতুন ইউজার ইন্টারফেস আসার কথা শোনা গিয়েছিল, তার মধ্যে আবারো স্টার্ট মেনু ফিরিয়ে আনার ব্যাপারটি ছিল অন্যতম। যদিও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে মাইক্রসফট এখনও কোনও ঘোষনা করেনি, তাই বলে নতুন ইন্টারফেস কেমন হতে পারে সে নিয়ে ডিজাইনারদের জল্পনা-কল্পনা থেমে নেই। ইতোমধ্যে ইউআই ডিজাইনার জে মাকালানি উইন্ডোজ ৮.২ বা ৯ এর ইন্টারফেস কেমন হতে পারে তার একটি কনসেপ্ট তৈরি করে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, উইন্ডোজ ৮ এর সবকিছুই অসাধারণ কিন্ত তা ইন্টারফেসের জন্যে ব্যবহারকারীদের মাঝে সারা ফেলতে পারেনি। স্টার্ট মেনু শুধু উইন্ডোজের ভিত্তিই নয়, বরং অপারেটিং সিস্টেমটির ইউআই এর প্রাণকেন্দ্র। তিনি তার কনসেপ্টে সেটি ফিরিয়ে এনেছেন তবে বেশ কিছু নতুনত্ব যোগ করে। আগের মত আর লিস্ট নয়, তিনি স্টার্ট মেনুতেই সরাসি যোগ করেছেন লাইভ টাইল যা মডার্ন ইউআই নামে পরিচিত। এর সাথে তিনি চিরাচরিত অ্যাপ লিস্ট ও রেখেছেন - অর্থাৎ এখন সুধু আপনার পছন্দের অ্যাপগুলোই লাইভ টাইল আকারে থাকবে। পুরো জিনিষটিও তিনি ছোট মেনু আকার দিয়েছেন ফুলস্ক্রীন না করে।
এছাড়াও তিনি ডান পাশের চার্ম মেনু বাদ দিয়ে সেটাকে পূর্বের ন্যয় স্টার্ট মেনুর সাথে যুক্ত করেছেন। তিনি দাবি করছেন এটাই সবচাইতে ইউজার ফ্রেন্ডলি ইউআই এবং মাইক্রোসফটের এমন কিছুই করা উচিৎ উইন্ডোজ ৮.২ বা ৯ এ। তবে সেটা মাইক্রোসফট গ্রহণ করে কিনা সেটাই এখন দেবার বিষয়।
Read more ...

কম্পিউটার হার্ড ড্রাইভ ডবল ক্লিকে ওপেন না হলে যা করনীয়

Julianna | 3:21 AM | Be the first to comment!
Samsung_Series_7_All-in-One_PC_Printঅনেক সময় দেখা যায় ভাইরাসের কারনে আপনি পিসিতে কোন ড্রাইভ যেমন- C,D,E,F মাউসের ডাবল ক্লিকে ওপেন করতে যাচ্ছেন তখন open With অপশন আসছে অথবা ইরর মেসেজ দেখাচ্ছে। হঠাৎ এ ধরনের সমস্যা আপনার জন্য সত্যি বেশ একটা বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়।
আবার অনেক সময় দেখা যায় আপনার ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা পেনড্রাইভে অটোরান(autorun.inf) ফাইল রান করছে ডিলিট করতে যাচ্ছেন কিন্তু ডিলিট হচ্ছে না।
কমান্ড প্রমোট এর সাহায্যে আপনি নিজেই এ ধরনের সমস্যার খুব সহজে একটি সমাধান করতে পারেন।
আসুন দেখা যাক কিভাবে আপনি কোন ভাইরাস সম্পৃক্ত অটোরান ফাইল ডিলিট করে ড্রাইভ ওপেন না হওয়ার সমস্যার সমাধান করবেন।

  ধাপ গুলো লক্ষ্য করুন:

windows menu+R প্রেস করে Run যান তারপর cmd টাইপ করুন।
এবার cd টাইপ করে ইন্টার চাপুন ।
এবার আপনার ভাইরাস আক্রান্ত ড্রাইভ এর নাম দিন , যদি D ড্রাইভ হয় তাহলে D: লিখে ইন্টার দিন ।
এবার টাইপ করুন attrib -r -h -s autorun.inf
তারপর টাইপ করুন del autorun.inf
দেখুন আপনার পিসির হার্ড ড্রাইভ ডাবল ক্লিকে ওপেন না হওয়ার সমস্যাটি ঠিক হয়ে গেছে। এভাবে ইচ্ছে করলে আপনি আপনার ফ্ল্যাশ ড্রাইভ থেকেই autorun.inf ফাইল ডিলিট করতে পারবেন।

Read more ...

এখন থেকে আয় হবে বাংলা ব্লগ বা ওয়েব সাইটে এড দেখিইয়ে, গুগল এডসেন্স এর বিকল্প এড।

Julianna | 3:15 AM | Be the first to comment!
আমরা সবাই চাই ইন্টারনেট থেকে আয় করতে।ওয়েবসাইট থেকে আয় করার সবথেকে ভাল উপায় হল গুগল এডসেন্স।কিন্তু যে কোনো কারনেই হোক গুগল এডসেন্স এখন সহজে approve হচছে না।যে কোন কারনেই হোক এডসেন্স অ্যাকাউন্ট approve হওয়া এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে।তাই বলে কি হাল ছাড়া ঠিক হবে,কখনোই না ।
যাইহোক, গুগল এডসেন্স এর বিকল্প এড হিশেবে বাংলাদেশে তৈরি হোল আমাদের এড। যারা গুগল এড সেন্স পাননাই তাদের জন্য।সাইট টি নাম হোল আমাদেরএড।সাইট টি বাংলা দেশের একটি নতুন সাইট।চলুন সাইট টির সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
বাংলাদেশি এই অনলাইন অ্যাডমিডিয়া থেকে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হলোঃ
1)   বাংলা অথবা ইংলিশ সাপোর্টেড ওয়েবপেজ বা ব্লগ।
2)  রেভেনিউ শেয়ার ৭০% পর্যন্ত।
3)  পরবর্তী মাসের ৭ দিনের মধ্যে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা।
4)   রয়েছে রেফারেল এর সুবাধা।
5)   ব্যাঙ্ক বা বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা।
6)   সর্বনিন্ম ১০০০টাকা পেমেন্ট সুবিধা।
7)  স্পেশাল seoআর ট্রাফিক গাইড লাইন।
8)  যারা বেশি ইনকাম করতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে ফ্রী গাইডলাইন।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১. দেশীয় Advertiser ও Publisher দেরকে সমন্বয় করা।
২. আপনার পণ্য কিংবা সেবার প্রচারণার জন্য বিজ্ঞাপনকে সহজলভ্য করা।
৩. নতুন করে উদ্যোক্তা তৈরি করা ও তাদেরকে টিকে থাকতে সহায়তা করা।
৪. Blogger,Webmaster,Affiliates Networker দেরকে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া।
৫. সর্বোপরি বাংলাদেশের ইন্টারনেট ও Online Market Place -কে সমৃদ্ধ করা।
কাস্টমার সাপোর্টের ক্ষেত্রে আমার দেখা সবচেয়ে ভালো এ্যাড নেটওয়ার্ক এটা। যে কোন ব্যাপারে (হোক সেটা সাইট এ্যাপ্রুভাল কিংবা কোন কমপ্লেইন) ওরা মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উত্তর দিয়ে থাকে। সেই সাথে রয়েছে ২৪ ঘন্টার স্কাইপ সাপোর্ট! আমার জানামতে অন্য কোন এ্যাড নেটওয়ার্ক এমনটা করে না।তাই,দেরী না করে এ্যাডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।আমি অলরেডি ইনকাম শুরু করে দিয়েছি আমার এই ব্লগটি থেকে।
যেভাবে সাইনআপ করবেনঃ

সাইটটিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে  ক্লিক করুন।

Join with AmaderAd এর নিচের ফোম পুরন করুন নিজের মত করে ।

 
 
 
Next You Will Do Fill UP All Box:

 
 

Next Click Join Now Button:
 
 
 
 
 
Next Go To Your Mail Box Collect the Activation code and past the code from amaderad.com


 
 

And Then Login:
 

 
 
Next Add Your Best And Beautiful Web site Link of Address:
 
 

 After your site Approved You Should Click Get Code and collect the code and past your web site:



আগেই বলেছি  আমি অলরেডি ইনকাম শুরু করে দিয়েছি আমার  ব্লগটি থেকে। আমার ব্লগটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ক্লিক করুন


Read more ...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.