Tuesday, February 4, 2014

যেসব বৈশিষ্ট থাকলে একটি পোস্ট মানসম্মত বলে বিবেচিত হবে

Julianna | 10:29 PM |
একটি ব্লগের পোস্ট যত মানসম্মত হবে, ব্লগটি তখন পাঠক বলুন আর সার্চ ইজ্ঞিন বলুন উভয়ের কাছে প্রাধান্য পাবে। ব্লগার যে বিষয়ে পোস্ট লিখতে চান সে বিষয়ে তার পূর্ণ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। অনেক সময় বিষয় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ থাকার কারণে পোস্টের মূল বিষয়বস্তু বিকৃত থেকে যায়। এজন্য পোস্ট প্রকাশের পূর্বে পোস্টের বিষয় সম্পর্কে পড়াশোনা করে নিলে পোস্টটি আপনি আপনার মনের মত লিখতে ও সাজাতে পারবেন। এটি একজন মানসম্পন্ন লেখক হওয়ার পূর্বশর্ত।
blog_logo“মানসম্পন্ন পোস্ট” এর সংজ্ঞা এক জনের কাছে এক এক রকম মনে হতে পারে। তবে আমার ধারণা লেখক যদি মানসম্পন্ন পোস্ট লিখতে চান তার পোস্টে অবশ্যই নিচের বৈশিষ্ট্য গুলি থাকতে হবে।
বৈশিষ্ট্য ১: পোস্টটি অনন্য ও অদ্বিতীয় হতে হবে
পোস্টকে তখনই মানসম্মত বলা হবে যখন আপনার লেখা পোস্টটি অন্যান্য পোস্ট থেকে ইউনিক অর্থ্যাৎ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হবে। এমন একটি কমন পোস্ট লিখে কি লাভ যে বিষয়ে অন্যান্য দশটা ব্লগে ভরি ভরি আর্টিকেল আছে। তবে হ্যাঁ আপনার লেখাটি যদি অন্যান্যদের তুলনায় ভাল হয় তবে পাঠকদের কথা মাথায় রেখে একবার চিন্তা করুন পোস্টটি প্রকাশ করলে পাঠকরা কি সুবিধা পাবে। আপনার পোস্টটি রচনাশৈলীর দিক থেকে অনন্য কিন্তু অতি কমন পোস্ট যা সম্পর্কে পাঠকরা পূর্ব থেকেই অবগত। ফলে আপনার লেখা ভাল হলেও মানসম্মত পোস্টের মর্যাদা কিন্তু পেল না। এমন একটি পোস্ট পাঠককে উপহার দিন যার বিষয়বস্তু ভিন্নতর হবে এবং বিষয় সম্পর্কে আপনার পূর্ণ জ্ঞান থাকবে। আগেই বলেছি যদি আপনার বিষয়টি অন্যান্যদের থেকে একেবারে ভিন্ন কিন্তু আপনার সেই বিষয় সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞান না থাকে তবে বিষয়বস্তু বিকৃত থেকে যাবে।
বৈশিষ্ট্য ২: পোস্টটির মূল বিষয় বস্তু মৌলিক হতে হবে
আমার কাছে মৌলিক পোস্টের সংজ্ঞাটা অনেকটা এরকম, আপনি যে বিষয়ে পোস্ট লিখবেন সেই পোস্টটিতে আপনি অবশ্যই আপনার নিজের কথাগুলোকেই প্রাধান্য দিবেন।
ইউনিক পোস্ট আর মৌলিক পোস্ট এ দুটি নিয়ে কখনও বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। কারণ এ দুটি একেবারেই পরস্পর হতে ভিন্ন। ইউনিক পোস্ট হল যা অন্যান্যদের থেকে একেবারে ভিন্ন ভঙ্গিতে লেখা হয় আর মৌলিক পোস্ট হল যে পোস্টে নিজের কথাগুলোর অভিব্যক্তি ঘটে।

বৈশিষ্ট্য ৩: পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতার ছাপ থাকতে হবে

ধরুণ, আমি একটি সার্চ ইজ্ঞিন অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কিত পোস্ট লিখলাম “কিভাবে প্রতিদিন ১০০০+ ভিজিটর পাওয়া যায়” যেখানে আমি নিজেই ১০০+ ভিজিটর পাই না। এরকম পোস্টকে আপনি কিভাবে মানসম্মত বলবেন। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন। আপনি যাই লিখবেন সেটা অবশ্যই নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে লিখুন।

বৈশিষ্ট্য ৪: পোস্ট অবশ্যই পাঠক সহায়ক হতে হবে

আপনি এমন একটি পোস্ট লিখলেন যা পাঠকদের কোন ভাবেই কোন কাজে লাগল না তাকে কোনমতে মানসম্মত পোস্ট বলা যাবে না। পোস্ট প্রকাশের পূর্বে আপনি অবশ্যই পাঠকের কথা চিন্তা করে পোস্ট প্রকাশ করবেন। এ কথাটি আমি আগেও বলেছি এবারও বলছি। তাই আপনার পোস্ট অবশ্যই পাঠক সহায়ক হতে হবে।
বৈশিষ্ট্য ৫: পোস্ট সার্চ ইজ্ঞিন বান্ধব হতে হবে
পোস্ট লেখার সময় লেখকের গুরুদায়িত্ব হল সার্চ ইজ্ঞিন সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখা এবং সেই অনুযায়ী পোস্ট প্রকাশ করা। সার্চ বট গুলো সবসময় মানসম্মত কন্টেন্টকে আগে ইনডেক্স করে। অতএব শুধু পাঠক নয় গুগলকেও খুশি করার জন্য আপনাকে মানসম্পন্ন লেখক হতে হবে।

বৈশিষ্ট্য ৬: পোস্ট স্ক্যানেবল হতে হবে

পোস্টটি এমনভাবে লিখতে হবে তা যেন অবশ্যই স্ক্যানেবল হয়। এখন আপনি চিন্তা করতে পারেন স্ক্যানেবল আবার কি? আসলে স্ক্যানেবল বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে পাঠক পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ একবার হলেও চোখ বুলালে পোস্টটি সম্পর্কে একটি ধারনা পায়। পোস্ট স্ক্যানেবল করার জন্য পোস্টটিতে প্যারাগ্রাফ, হেডিং, সাব হেডিং, পয়েন্ট ইত্যাদি থাকতে পারে।
বৈশিষ্ট্য ৭: পোস্টে সমৃদ্ব উপকরণ থাকতে হবে
মানসম্পন্ন পোস্টের প্রধান অলংকরণ হল উন্নত উপকরণ। প্রয়োজনীয় স্ক্রিনশট, টাইটেল ট্যাগ, ফন্ট স্টাইলের সঠিক ব্যবহার যেমন-কোথায় আন্ডারলাইন দিতে হবে; কোথায় শব্দ বোল্ড করতে হয় ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ব্লগ পোস্টকে অত্যন্ত আর্কষনীয় ও মানসম্পন্ন পোস্টে পরিণত। তাছাড়া এগুলোর যথেচ্ছা ব্যবহারের ফলে পাঠকও বিরক্ত হন এবং পোস্টের সৌন্দর্য বিঘ্নিত হয়।
বৈশিষ্ট্য ৮: পোস্টটি সঠিক দৈর্ঘ্যর হতে হবে
একজন ব্লগার হিসেবে বলছি কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট করার সময় কখনও পোস্টের দৈর্ঘ্য সম্পর্কে ভাববেন না। অনেকের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে পোস্ট যত বড় হবে পোস্টের মান তত বৃদ্বি পাবে। এটা কয়েকটি দিক থেকে বিবেচনা করলে ঠিক। তথ্যবহুল পোস্ট সাধারনত বড় হয়। তবে পোস্ট বড় হোক আর ছোট হোক মূল বিষয়বস্তু আপনি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন কিনা সেটাই মূখ্য।
বৈশিষ্ট্য ৯: পোস্টের পরিচিতি সংক্ষিপ্ত রাখুন
পোস্টের শুরুতে পোস্টের পরিচয় সূচক যে বাক্যগুলো লেখা তা অবশ্যই ৫-৬ লাইনের মধ্যে লিখতে হবে।মনে রাখতে হবে, পোস্টই একমাত্র মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি আপনার পাঠককে ইমপ্রেস করতে পারবেন। তাই পরিচিতি বাক্যগুলোতে অহেতুক বাক্য লিখলে পাঠক আগ্রহ হারাতে পারে। পরিচিতি প্যারাগ্রাফ আর্কষণীয় করে লিখতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজন হলে রিলেটেড কিছু লিঙ্ক দিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিকে সমৃদ্ব করুন।
বৈশিষ্ট্য ১০: পোস্টটি বানানগত ও ব্যাকরণগত দিক থেকে শুদ্ব হতে হবে
আপনার রচিত পোস্টে যদি বানান, ব্যাকরণ অথবা উচ্চারনগত ভুল থাকে তবে পোস্টের মান নিচে নেমে যাবে। বানানগত অথবা ব্যাকরনগত সমস্যা থাকতেই পারে। তাই পোস্ট প্রকাশের পূর্বে সম্পূর্ণ পোস্টটির একবার পড়ে নিন।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.