কিভাবে প্রিন্টারের যত্ন নিবেন
ডকুমেন্ট এর আউটপুট রুপ হচ্ছে প্রিন্ট । আর প্রিন্ট করার জন্যই প্রিন্টার মেশিন ব্যবহার করা হয় । বাজারে বিভিন্ন দামের/ফিচারের প্রিন্টার পাওয়া যায় । তবে ঠিকমতো প্রিন্টারের পরিচর্যা করলে একটি সাধারন প্রিন্টারও অনেক টেঁকসই হয় । তাই, আজ আমি প্রিন্টারের সঠিক পরিচর্যা করার পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম;- প্রিন্টার খোলা জায়গায় সেট করুন এবং ময়লাযুক্ত স্থানে প্রিন্টার ব্যবহার করবেন না ।
- নিয়মিত প্রিন্টার পরিস্কার করুন । প্রিন্টার পরিস্কার করার সময় অবশ্যই নরম কাপড় কিংবা টিসু ব্যবহার করুন ।
- অপ্রয়োজনে প্রিন্টার চালু রাখবেন না । এক্ষেত্রে, আপনি যখন প্রিন্টার না ব্যবহার করবেন তখন অযথা প্রিন্টার চালু রাখবেন না ।
- প্রতিটি প্রিন্টার এ হেড থাকে । যখন আপনি কোন কিছু প্রিন্ট করেন তখন প্রিন্টার এ ময়লা জমে । এক্ষেত্রে, নিয়মিত প্রিন্টারের হেড পরিস্কার করুন নতুবা প্রিন্টিং এ সমস্যা সৃষ্টি হবে ।
- প্রিন্টিং চলাকালীন সময় কখনো প্রিন্টার বন্ধ করবেন না কিংবা প্রিন্টার এর প্লাগ খুলবেন না । এছাড়া, যখন আপনি কোন কাগজ প্রিন্ট করবেন তখন প্রিন্ট অর্থাৎ চলাকালীন কাগজে বাধা দিতে যাবেন না ।
- প্রিন্টার এর সুইচ অফ না করেই প্রিন্টার এর প্লাগ খুলবেন না । এতে, প্রিন্টার এর পাওয়ার সাপ্লাই এর ক্ষতি হয় ।
- প্রিন্টিং কাজে যথাসম্ভব উন্নত মানের কাগজ ব্যবহার করুন নতুবা প্রিন্টার এর হেড এ সমস্যা’র সৃষ্টি হতে পারে ।
- প্রিন্টার এর উপর ভারী কোন বস্তু রাখবেন না ।
- প্রিন্টার নিয়মিত প্রিন্টিং কাজে ব্যবহার করুন নতুবা প্রিন্টারের কালি শুকিয়ে যেতে পারে যা পরবর্তীতে প্রিন্ট করার সময় বাধার সৃষ্টি করবে ।
ডেস্কজেট হিসাবে যে প্রিন্টার কিনবেন এবং কম খরচে প্রিন্ট করবেন, সাথে রিফিলের নিয়মাবলী:
প্রিন্টার ঘরে না থাকলে কি চলে? আজকের লেখাটি প্রিন্টার বিষয়ক সেটি বুঝে গেছেন। আমি আজ কম বাজেটে একটু বেশী সুবিধার কথা বর্ণনা করবো। প্রিন্টার রয়েছে EPSON এর একটি, যেটি ড্রামকালির সিস্টেম ইউস করে প্রিন্ট করে। সবচেয়ে সস্তায় প্রিন্ট হয়। কিন্তু প্রিন্টারটার দাম একটু বেশী। তাছাড়া লেজার প্রিন্টারের টোনারের দামটা না হয় নাই বললাম। আর কার্টিজ? সস্তা অনেক। ৬০০টাকা থেকে শুরু অরিজিনাল কার্টিজের দাম। ফকির হতে বেশী সময় লাগার কথা না যদি সীমিত আয়ের হয়ে থাকেন আপনি। আর ধনী হলে তো কোন কথাই নাই, এগুলা কোন ব্যাপার না। বাট টাকা কি কেউ কাউকে এমনি এমনিতেই দিয়ে দিবে? হোক সে ধনী বা গরীব। হিসাব করে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।আমি পরিচয় করিয়ে দিবো একটি প্রিন্টারের সাথে যেটির মডেল HP Deskjet 1000 বা HP D1000 মডেলের সাথে। দাম মাত্র ২৬০০ টাকা। অনেক সস্তা তাই না? এবার আসুন দেখি এটির কার্টিজের পিছনে কত খরচ হতে পারে-
Printer HP D1000 ব্লাক কার্টিজ ১০০০ বা ১১০০ এর ভিতর পাবেন আর কালারটাও প্রায় সেম দামে। তো ধরুন খরচ হয় মাত্র ২০০০টাকার মত শুধু কার্টিজেই। কম করে হিসাব করছি। কাগজের দাম ধরার কোন দরকার নেই। আপনি কার্টিজের দাম দিয়ে এই প্রিন্টার আরেকটি কিনতে পারবেন।
এখন ভাবার কোন কারন নেই তাহলে এই প্রিন্টারের কথা বলছি কেন। কারন হলো মার্কেটে সবচেয়ে কমদামী প্রিন্টার এটি(রাইয়ানস কম্পিউটারস, আইডিবি)। এখন সমস্যা হলো কার্টিজের দাম নিয়ে। সেটি কমাতে পারলেই তো সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
এজন্য আমরা কার্টিজ রিফিল করবো। অনেকেই কার্টিজ রিফিলের কথা শুনে থাকবেন। সমস্যা হলো অনেকে রিফিল করতে জানেন না। এই মডেলের প্রিন্টার রিফিল করা নিয়ে আপনাদের জানতে ইচ্ছা করলে পরে জানাবো। আগেতো প্রিন্টার কিনে তারপর ফ্রী কার্টিজের কালিটুকু শেষ করুন।
এবার হিসাব করি রিফিলের কালি কত নিবে। ব্লাক, সায়ান, মেজান্টা, ইয়োলো প্রত্যেক কালারের টিউব মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকা মাত্র(আমি ইপসনের কালার ইউস করি)। এই কালি দেশের যে কোন কম্পিউটার দোকানে পাওয়া যায়। কালি/রিফিল কেনার সময় ইনটেক প্যাকেট কিনা তা দেখে নিন। অনেক সময় প্যাকেট ব্রেক থাকতে পারে। আর ডাক্তারের দোকান থেকে সিরিঞ্জ কিনে নিন চারটা। প্রত্যেকটি পাঁচটাকা করে নিবে। সিরিঞ্জ কিনার সময় সাবধান থাকবেন। অনেক সিরিঞ্জ আছে ওয়ান টাইম ইউস। সেগুলো মানুষের জন্য। মেশিনের শরীরে HIV ভাইরাস প্রবেশের কোন আশংকা নেই। তাই চেক করে কিনবেন যাতে বার বার ইউস করা যায়। ব্যাস বাসায় এসে রিফিল করবেন। কালির খরছ সিরিঞ্জ সব মোট পরতে পারে 300টাকা। এইটা দিয়ে আনুমানিক ৬ থেকে ১২ মাস চলে যাবে। তারপরও অনেক কালি বেঁচে যেতে পারে।
রিফিল সম্পর্কে হালকা ধারণা দিয়ে দিচ্ছি। কার্টিজের উপরে স্টিকার পাবেন সেটি খুলে কালি দিতে হবে। ব্লাক ও কালার দুটোতেই তিনটা করে ছিদ্র পাবেন। কালো কার্টিজের যে কোন ছিদ্র দিয়ে কালি ঢুকালেই হবে তারপরও বড় ছিদ্র দিয়ে পরিমান মত কালি দিন। আর কালার কার্টিজের ক্ষেত্রে আগে চেক করে নিন কোন ছিদ্রে কোন কালি আছে। সেই হিসাবে কালি দিন। আর কালি দেয়ার পর টেপ দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করে মিনিমান ছয় ঘন্টা রেখে দিন। তাহলে ভালভাবে প্রিন্ট করতে পারবেন।
————————————————————————————
এবার
অনেকেই বলবেন প্রিন্ট কোয়ালিটি ভাল আসে না। সেটা অবশ্য ঠিক। অরিজিনালের
সাথে ডুপ্লিকেটটা মিলবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে সকল দোকানে কিন্তু রিফিলের
কালি দিয়েই প্রিন্ট করে থাকে। আপনি প্রিন্ট করার সময় প্রিন্ট কোয়ালিটি Normal Paper (Best Quality)
সিলেক্ট করে প্রিন্ট করুন। এই অপশনটি পাবেন প্রিন্ট উইন্ডোর যেখানে
প্রিন্টার সিলেক্ট করার অপশন থাকে তার পাশের Advance বাটনে। ব্যাস।এবার প্রিন্ট করুন ইচ্ছামত। খরচ হয়েছে বলে মনেই হবে না। আমি তো এখন শুধু কালার প্রিন্ট করি। দোকানে কালার প্রিন্ট করতে লাগে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা। নীলক্ষেতে নাকি ঢকাতে ১০টাকা। দেশের অন্যান্য জায়গাতে হয়ত ২/৩ টাকা কম নিবে। বাট সেগুলার প্রিন্ট কোয়ালিটি ফালতু। আর আপনারটা কেমন সেটি প্রিন্ট করলেই বুঝবেন।
আর রিফিল করলে প্রিন্টার বা কার্টিজ নষ্ট হয় না। সেম কথাটা আমার ফ্রেন্ড আমাকে বলেছিলো। আসলে সে কার্টিজের ডিফল্ট ছিদ্র রেখে পাকনামি করে নতুন ছিদ্র করে ছিলো। সো দোষটা তো তারই ছিল।
প্রিন্টারটির যখন আপনি রিফিল করছেন, তখনি আপনি এইচপির ওয়ারেন্টির নিয়ম ভঙ্গ করছেন, তার মানে প্রিন্টার রিফিল করা হলে এইচপি এক বছরের যে ওয়ারেন্টি দিয়েছিলো সেটি ক্যান্সেল করে দিবে। এটা শুধু এইচপির বেলাতে নই অন্যান্য প্রিন্টার ব্রান্ডের বেলাতেও সমান প্রযোজ্য। ব্যক্তিগতভাবে মনে ছোট বা হাল্কা কাজের জন্য ২৬০০/- মধ্যে ডেস্কজেট প্রিন্টার নেওয়াটা ভালো। বেশী দামের প্রিন্টার নিতে গেলে কার্টিজের দাম ক্রয়কৃত প্রিন্টারের সমানে হবে। তাই প্রিন্টার ব্যবহারের ঝুকি গ্রহন করতে অল্প টাকার মধ্যে বাজেট রাখতে পারি।
Thanks For advice Popular Buying Epson l130 printer price in bd Check hare
ReplyDeleteআমার প্রিন্টারে কাগজ প্রিন্ট করা সময় কালি ভাল মতন আসে না। এমন কি অন্য রং গুলো সঠিক কালি আসে না।এর কারন কি
ReplyDeleteWe, Toto Power Engineering are proud to be one of the best construction company in Bangladesh . We have a team dedicated to the effective management of each project.
ReplyDelete