ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং এর টিপস
ফ্রি-ল্যান্সিং
সাইটে কাজ পেতে হলে আপনাকে বিড করতে হবে। বিড করা ছাড়া কাজ পাওয়া সম্ভব
নয়। বিড করার কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হয়। প্রথম কাজ হচ্ছে আপনাকে আগে
সম্পূর্ণ কাজের বিবরণ ভালভাবে পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। এরপর আপনি সিদ্ধান্ত
নিবেন আপনার পক্ষে কাজটি করা সম্ভব কিনা। যদি আপনি মনে করেন কাজটির জন্য
আপনি উপযুক্ত এবং বায়ার যেভাবে কাজ চেয়েছে আপনি ঠিক সেভাবে কাজটি ডেলিভারি
দিতে পারবেন তবেই বিড করবেন। কাজের বিবরণ ভালভাবে না পড়ে বিড করা বোকামি।
এরপর বিড করার সময় প্রথমে চিন্তা করুন বায়ার যে বাজেট দিয়েছে সেটা ঠিক আছে
কিনা বা আপনার পক্ষে বায়ার নির্ধারিত বাজেটে কাজ করা সম্ভব কিনা?
আমরা অনেকেই মনে করি কম বিড করলেই কাজ পাওয়া যাবে। আসলে ঠিক না। কেন আপনি
কম বিড করবেন এবং সেটা যুক্তিযুক্ত হবে কিনা ভেবে চিন্তে ঠিক করুন। তারপর
বিড করুন। তাহলে বায়ার আপনার সম্পর্কে পেশাদারি মনোভাব পোষন করবেন। আর অযথা
কম বিড করলে বায়ার আপনাকে অনভিজ্ঞ মনে করতে পারে। যেমনঃ বাজারে চাল কিনতে
গিয়ে যদি আপনি ৪০টাকা কেজির চালের দাম ২০টাকা বলেন তাহলে দোকানদার আপনাকে
বুঝে নিবে আপনার চালের বাজার সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। আশা করি ব্যাপারটি
বুঝতে পেরেছেন।
আউটসোর্সিং এর বিষয়ে কিছু টিপসঃ
১) শুরুর দিকে যত কম মূল্যে বিড করা হবে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা ততই বাড়বে।
২) প্রথম প্রথম কাজ পেতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। তাই, হতাশ না হয়ে বিড বা নিলামে অংশ নিতে হবে।
৩) সম্ভব হলে বিড করার আগেই যদি কাজটি সম্পন্ন করে দেখাতে পারেন এবং গ্রাহক যদি পছন্দ করে তাহলে প্রকল্প প্রাপ্তি অনেকটাই নিশ্চিত।
৪) কোন কাজ না পারলে সেখানে কখনই বিড করা উচিত নয়।
৫) সাধারণত যেসব কাজ একটু কঠিন এবং যেসব কাজে কম বিড পড়ে সে রকম কাজ
পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই, কাজ শুরু করার আগে সব ধরনের কাজ একটু
পর্যবেক্ষণ করে নিজেকে তৈরি করে নিন।
৬) ইন্টারনেটে নানা ধরনের কাজ পাওয়া যায়। আপনি যে কাজই করে থাকুন না কেন, সেটাতে দক্ষ হয়ে উঠলে তবেই কাজের জন্য আবেদন করবেন।
৭) একটি প্রকল্প সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা না নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত নয়।
কাজ শুরু করার পূর্বে, ক্লায়েন্টের সঙ্গে ভালোভাবে বুঝে নিন সে কি চায়।
৮) আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হলে ইন্টারনেট এ অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।
অন্তত, প্রকল্পের চাহিদা বোঝা এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের সঙ্গে সাবলীল ভাবে
যোগাযোগ করা ক্ষমতা থাকা দরকার।
৯) কাজের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ করুন ও গ্রাহকের কাছে পাঠিয়ে দিন।
১০) সম্পূর্ণ কাজকে কয়েকটি ধাপে ভাগ করুন ও প্রতিটি ধাপ শেষ হওয়ার পর টা কায়েন্টকে দেখান।
আউটসোর্সিং কাজের কয়েকটি ওয়েবসাইটঃ
১) www.odesk.com
২) www.freelancer.com
৩) www.guru.com
৪) www.getacoder.com
৫) www.elance.com
৬) www.vworker.com
২) www.freelancer.com
৩) www.guru.com
৪) www.getacoder.com
৫) www.elance.com
৬) www.vworker.com
আউটসোর্সিং এর বই
বর্তমানে
আউটসোর্সিং বেশ জনপ্রিয় তরুণদের মধ্যে। আউটসোর্সিং এর কাজ করতে বেশ কিছু
বিষয় জানা জরুরী। আউটসোর্সিংয়ের এমন সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে প্রকাশিত
হয়েছে "আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে এবং শুরু করার পর"
বইটি। বইটি লিখেছেন মো. আমিনুর রহমান। ১৯ অধ্যায়ের বইটিতে পূর্ণাঙ্গভাবে
আউটসোর্সিংয়ের বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। রয়েছে প্রয়োজনীয় ছবি। অমর
একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩-তে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
ঘরে বসে বইটি পেতে: http://www.rokomari.com/book/61910
ঘরে বসে বইটি পেতে: http://www.rokomari.com/book/61910
AdminDecember 25, 2018 at 11:39 AM
ReplyDeleteবইটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে ধন্যবাদ এডমিনকে। আপনারা যারা ওয়েস্টার্ন,হরর, ভৌতিক, ভালোবাসার গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি অতি প্রিয় ব্লগ হচ্ছে bhoot goyenda এখানে আপনি গল্প পড়ার সাথে সাথে যেকোনো bengali ebook pdf download করতে পারেন http://bhootgoyenda.blogspot.com