Wednesday, October 2, 2013

ব্যাটারি ব্যাকআপে সেরা ৮ ল্যাপটপ

Julianna | 9:34 PM |

সময়ের সাথে সাথে ডেস্কটপের তুলনায় ল্যাপটপও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপই রয়েছে। ল্যাপটপ কেনার সময় ব্র্যান্ড আর ল্যাপটপের কনফিগারেশন ছাড়াও অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে যে বিষয়টি বিবেচনা করা হয়, সেটি হলো এর ব্যাটারি ব্যাকআপ। বহনযোগ্যতার কারণেই ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই লেখায় সবচেয়ে বেশি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম, এমন কিছু ল্যাপটপের কথা তুলে ধরা হলো।



লেনেভো থিংকপ্যাড এক্স ২৩০

যাদের সারাদিন নিজের ল্যাপটপেই কাজ করতে হয়, তাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে লেনোভো'র থিংকপ্যাড এক্স ২৩০। এটি মূলত ব্যাবসায়িক বা কর্পোরেট ল্যাপটপ হিসেবে পরিচিত। ব্যাটারি ব্যাকআপের দিক থেকে এটি কেবল কল্পনাকেই হার মানাতে পারে। সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এই ডিভাইসটি। ১২ ইঞ্চি আকারের এই ল্যাপটপের কনফিগারেশন শুরু হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের কোরআই৩ প্রসেসর থেকে। সাথে থাকবে ৪ জিবি ডিডিআর৩ র্যাম আর ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক। চাইলে এগুলো বাড়িয়েও নেওয়া যাবে। ৭৫ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে কোরআই৩ প্রসেসরে তৈরি এক্স২৩০ ল্যাপটপগুলো।

লেনেভো থিংকপ্যাড টি ৪৩০

ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যাকআপে এগিয়ে রয়েছে লেনোভোর থিংকপ্যাড সিরিজের টি৪৩০। এই ল্যাপটপটি একটানা ১৩ ঘণ্টারও বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ফলে কাজ করতে গিয়ে চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার আশংকা না করলেও চলবে। তৃতীয় প্রজন্মের কোরআই৩ প্রসেসর থেকে শুরু হয়েছে এই সিরিজের কনফিগারেশন। ১৪ ইঞ্চি আকারের এই ল্যাপটপের ডিসপ্লেতে পূর্ণাঙ্গ এইচডি ভিডিও দেখার সুযোগ পাবেন। কোরআই৩ প্রসেসরে তৈরি টি ৪৩০ এই ল্যাপটপগুলোও পাওয়া যাবে ৮৫ হাজার টাকায়।

অ্যাপল ম্যাকবুক এয়ার ১৩

আইফোন আর আইপ্যাডের কল্যাণেই অনেকে অ্যাপলকে চিনে থাকেন। তবে অ্যাপল'র ম্যাকিন্টোশ সিস্টেম এবং ম্যাকবুকগুলোও সারাবিশ্বে সমাদৃত। বিশেষ করে ম্যাকবুক এয়ার ১৩ এর ছোটখাট গড়ণ এবং হালকা-পাতলা হওয়ার কারণে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ১৩ ইঞ্চি ডিসপ্লে'র এই ম্যাকবুক একটানা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। উচ্চমানের প্রসেসরের সাথে সাথে এতে রয়েছে ইন্টেলের হাই রেজ্যুলেশন গ্রাফিক্স। আর এর স্টোরেজে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি)। ফলে এতে তথ্যের সুরক্ষাও সুনিশ্চিত। ১২৮ গিগাবাইট এসএসডি ড্রাইভ থেকে শুরু হয়েছে এর কনফিগারেশন। ১২৮ জিবি এসএসডি মডেলের দাম পড়বে ১ লক্ষ ৬ হাজার ৫শ টাকা।

অ্যাপল ম্যাকবুক প্রো

অ্যাপল ম্যাকবুক সিরিজের আরেক জনপ্রিয় মডেলের নাম ম্যাকবুক প্রো। হাই-এন্ড এই ম্যাকবুক প্রো প্রফেশনাল গ্রাফিক্সের কাজের জন্যই সকলের কাছে সমাদৃত। এর সর্বশেষ সংস্করণের রেটিনা ডিসপ্লে একে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে সকলের কাছে। ১৩ ইঞ্চি এবং ১৫ ইঞ্চি আকারে পাওয়া যায় ম্যাকবুক প্রো। ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এই প্রো। ১৩ ইঞ্চি আকারের ম্যাকবুক প্রো পাওয়া যাবে ১ লক্ষ ১৪ হাজার টাকায় এবং ১৫ ইঞ্চি মডেলের দাম পড়বে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

ডেল এক্সপিএস ১৪

বর্তমানে পিসি নির্মাতা হিসেবে লেনোভো আর এইচপি'র পেছনে পড়ে গেলেও তৃতীয় স্থানটি ঠিকই ধরে রেখেছে ডেল। তাদের হাই-এন্ড ল্যাপটপগুলোও আদৃত সব ধরনের ব্যবহারকারীদের কাছে। বিশেষ করে তাদের এক্সপিএস সিরিজের ল্যাপটপগুলো ব্যাটারি ব্যাকআপের জন্যও বিখ্যাত। ১৪ ইঞ্চি মনিটরের ডেল এক্সপিএস ১৪ মডেলটি ৮ ঘণ্টার বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। তৃতীয় প্রজন্মের কোরআই৫ প্রসেসর, ৪ গিগাবাইট ডিডিআর ৪ র্যাম এবং ৫০০ গিগাবাইট হার্ডডিস্ক স্টোরেজের ডেল এক্সপিএস ১৪তে রয়েছে ১ গিগাবাইট ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স। ৮ সেল ব্যাটারির এই ল্যাপটপের দাম পড়বে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
তোশিবা পোর্টিজি আল্ট্রাবুক জেড ৯৩০

তোশিবা শুরু থেকেই আস্থার একটি ব্র্যান্ড হিসেবেই সুপরিচিত। তোশিবার ল্যাপটপগুলোও শক্তিশালী এবং সব ধরনের ব্যবহারের জন্য বেশ উপযোগী। ব্যাটারি ব্যাকআপে তোশিবার আল্ট্রাবুক পোর্টিচি জেড ৯৩০ বেশ এগিয়ে। পোর্টিজি সিরিজের এই ল্যাপটপে রয়েছে কোরআই৭ প্রসেসর, ৬ গিগাবাইট র্যাম ও ২৫৬ সলিড স্টেট স্টোরেজ। তথ্যের সুরক্ষার পাশাপাশি এই ল্যাপটপটি একটানা কাজের জন্যও বেশ উপযোগী। ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ব্যাকআপ দিতে সক্ষম এই তোশিবা ল্যাপটপ। অরিজিনাল উইন্ডোজ ৭ এবং ৮ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে এতে। তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ ছাড়াও এর অন্যতম আকর্ষণীয় একটি ফিচার হচ্ছে এর ওজন। আল্ট্রাবুক ঘরানার পোর্টিজি জেড ৯৩০-্রএর ওজন মাত্র ১.১২ কেজি। হাই-এন্ড আল্ট্রাবুকটির দাম পড়বে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা।

সনি ভায়ো

জাপানি প্রতিষ্ঠান সনির পণ্যের প্রতি অনেকেরই নজর থাকে। সনির প্রতি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা গ্রাহক নির্ভরতা এর অন্যতম মূল কারণ। ক্যামেরা বা অন্যান্য পণ্যের সাথে সাথে তাদের ল্যাপটপগুলোও বেশ বিখ্যাত। বিশেষ করে ভায়ো সিরিজের ল্যাপটপ দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। ভায়ো সিরিজের আল্ট্রাবুকগুলো হাই-এন্ড ল্যাপটপ হিসেবেই পরিচিত। ১১.৬ ইঞ্চি এবং ১৩.৩ ইঞ্চি আকৃতিতে পাওয়া যায় এই আল্ট্রাবুকগুলো। ১১.৬ ইঞ্চি মডেলে ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে ৮ ঘণ্টা এবং এর দাম পড়বে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে ১৩.৩ ইঞ্চি মডেলের ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত। এর দাম পড়বে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
স্যামসাং এনপি ৯০০এক্স৩সি

স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট পিসির পাশাপাশি ল্যাপটপের বাজারেও স্যামসাং শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশেষ করে তাদের ৯ সিরিজের সর্বাধুনিক ল্যাপটপগুলো ব্যাটারি ব্যাকআপে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ইন্টেলের কোরআই৭ প্রসেসরে তৈরি এই ল্যাপটপে রয়েছে ৪ গিগাবাইট ডিডিআর৩ র্যাম আর ২৫৬ গিগাবাইট সলিড স্টেট ড্রাইভ। ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্সসহ ১৩.৩ ইঞ্চি আকারের ল্যাপটপটির ওজন মাত্র ১.১৬ কেজি। ফলে খুব সহজে বহন করা যাবে এই ল্যাপটপ। ৮ ঘণ্টার বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে ৯ সিরিজের এই স্যামসাং ল্যাপটপ। হাই-এন্ড এই ল্যাপটপটির দাম পড়বে ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.