Monday, February 24, 2014

ফায়ারফক্স ল্যাগি মনে হচ্ছে? ফাস্ট করবেন যেভাবে ...

Julianna | 3:30 AM | Be the first to comment!
আপনার কি কখনো এরকম মনে হয়েছে যে সাধারণ ভাবে দ্রুত কাজ করা আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজারটি ক্রমশই ল্যাগি হয়ে যাচ্ছে? এরকমটা হয়ে থাকে। অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন সমূহ, এক্সটেনসন সমূহ এমনকি ব্রাউজারের ডাটাও ব্রাউজারকে ল্যাগি করে ফেলতে পারে। আজকের টিউটোরিয়ালটিতে আমি চেষ্টা করব যদি আপনার ব্রাউজার ল্যাগি হয়ে থাকে তবে তা আগের মতই দ্রুত কার্যক্ষম করে দিতে, অন্তত চেষ্টা করতে।
আমি দেখাতে চেষ্টা করব যে কীভাবে প্লাগিন, এক্সটেনশন সমূহ এবং ব্রাউজারের ডাটা ক্লিন করে মজিলা ফায়ারফক্সের স্পিড বাড়িয়ে দেয়া যায়। চলুন, শুরু করা যাক।
প্লাগিন ডিস্যাবল করেঃ
ব্রাউজারের জন্য মূলত প্লাগিন উপকারীই হয়ে থাকে। প্লাগিনসমূহ ফায়ারফক্সের বিভিন্ন রকম ইন্টারনেট কম্পোনেন্ট যেমন, ফ্ল্যাশ, সিলভার লাইট, জাভা এবং অফিস – ইত্যাদি প্লাগিন সমূহ ম্যানেজ করতে সাহায্যে করে। কিন্তু, আপনি লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন যে হয়ত এমন কিছু প্লাগিন আপনার ব্রাউজারে ইন্সটল করা আছে যেগুলো আপনার কোন প্রয়োজনেই আসেনা। আপনার উচিৎ সেই প্লাগিনগুলোকে ডিসঅ্যাবল করে দেয়া, কেননা – এই প্লাগিন গুলো আপনার ব্রাউজারকে ল্যাগি করে ফেলতে পারে।
নোটঃ প্লাগিন আসলে ব্রাউজার ত্থেকে মুছে দেয়া যায়না অথবা আন-ইন্সটলও করা যায়না, শুধু মাত্র ডিস্যাবল করা যায়। তবে, একটি প্লাগিন যদি এক্সটেনশনের একটি পার্ট হিসেবে আলাদা ভাবে ইন্সটল করা হয় সেক্ষেত্রে সেটা ব্যাতিক্রমধর্মী এবং সেগুলোকে আন-ইন্সটল করা যায়। তখন, প্লাগিনটি অটোম্যাটিক ভাবে মুছে যাবে।
ফায়ারফক্স থেকে একটি প্লাগিন ডিস্যাবল করার জন্য ‘Firefox’ বাটনে ক্লিক করে ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে ‘Add-ons’ সিলেক্ট করতে হবে।
1
এরপর একটি ‘Add-ons Manager’ এর পেইজ খুলবে। সেখানে বাম পাশে ‘Plugins’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এবং এরপর, আপনি যে প্লাগিনটি ডিস্যাবল করতে চান সেটির পাশে ‘Disable’ –এ ক্লিক করলেই প্লাগিনটি ডিস্যাবল হয়ে যাবে।
2
যে প্লাগিন গুলো আপনি ডিস্যাবল করবেন বা ডিস্যাবল অবস্থায় থাকে সেগুলোর ফন্ট এর রঙ ধূসর হয়ে থাকে এবং হালকা হয়ে থাকে। এবং আপনি যাতে সহজেই আবার প্লাগিনগুলো অ্যাকটিভ করতে পারেন এ জন্যে ‘ইনাবল’ নামের একটি বাটন দেয়া থাকে।
3
আপনি প্রায় সবগুলোই ডিস্যাবল করে দিতে পারেন কিন্তু যেহেতু ফ্ল্যাশ অনেক সাইটেই ব্যবহার করা হয় তাই ফ্ল্যাশ এর প্লাগিনটি ডিস্যাবল না করাটাই ভালো হবে।
এক্সটেনশন ডিস্যাবল করার মাধ্যমেঃ
আপনি আপনার ব্রাউজারে অনেক রকম সুবিধা যোগ করতে পারবেন নানা রকম এক্সটেনসন ব্যবহার করে। যেমন, সাইটের অ্যাড ব্লক করার জন্য আপনি এক্সটেনসন ব্যবহার করতে পারেন, ভিডিও ডাউনলোড করার জন্য এক্সটেনসন ব্যবহার করতে পারেন, থিম পরিবর্তন করার জন্য এক্সটেনসন ব্যবহার করতে পারেন অথবা অন্যান্য ব্রাউজারের সুবিধা সমূহ ব্যবহার করার জন্যেও নানা রকমের এক্সটেনসন ব্যবহার করতে পারেন। কথা হচ্ছে, আপনি যত বেশি এক্সটেনসন ব্যবহার করবেন আপনার ব্রাউজার ততটাই ল্যাগি হয়ে যেতে পারে। তাই, ব্রাউজারকে ফাস্ট করতে আপনি এক্সটেনসনগুলো আনইন্সটল না করে শুধুমাত্র ডিস্যাবলও করতে পারেন।
একটি এক্সটেনসন ডিস্যাবল করার জন্য ‘Firefox’ বাটনে ক্লিক করে ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে ‘Add-ons’ সিলেক্ট করতে হবে। এরপর একটি ‘Add-ons Manager’ এর পেইজ খুলবে। সেখানে বাম পাশে ‘Extensions’ ট্যাবে ক্লিক করতে হবে।এবং এরপর যে এক্সটেনসনটি আপনি ডিস্যাবল করতে চান তার ডান পাশে থাকা ডিস্যাবল বাটনে ক্লিক করতে হবে।
4
বেশির ভাগ এক্সটেনসনের ক্ষেত্রে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করতে হবে। আপনি যদি নিচের ছবিটির মত ‘রিস্টার্ট বার্তা’ পেয়ে থাকেন তবে ‘Restart now’ – তে ক্লিক করলেই হয়ে যাবে।
5
প্লাগিনের মতই যে এক্সটেনসন গুলো আপনি ডিস্যাবল করবেন বা ডিস্যাবল অবস্থায় থাকে সেগুলোর ফন্ট এর রঙ ধূসর হয়ে থাকে এবং হালকা হয়ে থাকে। এবং আপনি যাতে সহজেই আবার এক্সটেনসন গুলো অ্যাকটিভ করতে পারেন এ জন্যে ‘ইনাবল’ নামের একটি বাটন দেয়া থাকে। আর, ডিস্যাবল অবস্থায় থাকা একটি এক্সটেনসন লিস্টের নিচের দিকে থাকে।
6
প্লাগিন আন-ইন্সটল করেঃ
আমি আগেই বলেছি, ফায়ারফক্সের মধ্যে থেকে প্লাগিন সমূহ খুব সহজে ম্যানুয়ালি আন-ইন্সটল করা যায়না। যাই হোক, বেশির ভাগ প্লাগিন তাদের নিজস্ব আন-ইন্সটলেশনের ইউটিলিটির সাথেই ইন্সটল হয়ে থাকে। আপনি সহজেই কনট্রোল প্যানেল এ গিয়ে এই প্লাগিন গুলো আন-ইন্সটল করে নিতে পারেন। আর যদি কোন একটি প্লাগিনের আন-ইন্সটল ইউটিলিটি না থেকে থাকে তবে আপনি ম্যানুয়ালিও আন-ইন্সটল করতে পারবেন, প্রোসেস
নিচে দেয়া হলঃ
• ব্রাউজারের লোকেশন বারে about:config লিখে এন্টার চাপুন। About Plugins Page আসবে।
• About Plugins page এর প্রতিটি এন্ট্রিতে “File:” এবং “Path:” থাকবে যেগুলো প্রতিটি প্লাগিনের নাম এবং লোকেশন দেখাবে। আপনি উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে মাধ্যমে সেই প্লাগিনের লোকেশন ভোল্ডারে এক্সেস করুন।
• এক্সটেনসনের ফাইলের নামের আগে একটি X যুক্ত করে দিন। যেমন, ফাইলের নাম npswf32 থাকলে রিনেম করে Xnpswf32 করে দিন।
ব্যাস, প্লাগনটি মুছে যাবে।
এক্সটেনসন মুছে দিয়েঃ
আপনি যদি সম্পুর্ন ভাবে একটি এক্সটেনসন মুছে দিতে চান তবে উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী Add-ons Manager খুলুন এবং Extension ট্যাবে ক্লিক করুন। এবার, যে প্লাগিনটি মুছে দিতে চান তার ডানের থাকা ‘Remove’ বাটনে ক্লিক করুন। রিস্টার্ট মেসেজ পেলে ব্রাউজারটি রিস্টার্ট করুন। ব্যাস।
7
ব্রাউজিং ডাটা ক্লিয়ার করেঃ
ফায়ারফক্স আপনার ভিসিট করা প্রতিটি সাইট ট্র্যাক করে থাকে। এছাড়াও, আপনি যে ফাইলগুলো ডাউনলোড করে থাকেন (ইন বিল্ট ডাউনলোডার দিয়ে), ইন্টার্নেটে যা সার্চ করে থাকেন, কুকিস, আপনার ইউজার নেইম-পাসওয়ার্ড ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে। এই সব ডাটা গুলো ব্রাউজারের হিস্টোরি ডাটাবেসে জমা হয় এবং আস্তে আস্তে এই ডাটাবেসে অনেক ডাটা জমে যায় এবং এর ফলে ব্রাউজার ল্যাগি হয়ে যেতে পারে। অনেক রকম পদ্ধতিতেই আপনি এই ব্রাউজারের ডাটা গুলো মুছে দিতে পারেন।
আপনার সমস্ত ব্রাউজারের ডাটা মুছে ফেলুনঃ
একটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্রাউজার ডাটা মুছে ফেলার জন্য firefox থেকে History তে যান। ড্রপ ডাউন মেন্যু থেকে রিসেন্ট হিস্টোরী ক্লিয়ার করে দিন।
৮
আপনি একটি ডায়লগ বক্স পাবেন। আপনি কি কি মুছে দিতে চান ‘Details’ এ ক্লিক করে আপনি তা নির্ধারন করে দিতে পারেন।
৯
এখন আপনার প্রয়োজন মত সময় অনুযায়ী ব্রাউজারের ডাটা মুছে দিতে পারেন।
১০
আপনি যদি সবগুলো বক্স সিলেক্ট করে দিয়ে থাকেন তবে আপনাকে একটি বার্তা দেখাবে যাতে লেখা থাকবে যে আপনি একবার মুছে দিলে এই ডাটা গুলো আর রিস্টোর করতে পারবেন না। তাই, বুঝে শুনে ব্রাউজারের ডাটা মুছুন।
১১
ফায়ারফক্স বন্ধ করার সাথে সাথে অটোমেটিক্যালি যেভাবে ব্রাউজারের ডাটা মুছে যাবেঃ
আপনি যদি চান যে প্রতিবার আপনার কাজ শেষে যখন আপনি ব্রাউজারটি ক্লোস করবেন তখন ব্রাউজিং করার সময় জমা ডাটা গুলো মুছে যাক তবে Firefox > Option > Privacy-তে যান। দেখবেন হিস্টোরীতে Firefox will" সেটিংসে Remember History দেয়া আছে। আপনি সেখানে ক্লিক করে Use Custom Settings for History সিলেক্ট করুন।
১২
এবার সেটিংসে ক্লিক করুন। সেটিংসে যাবার পর হিস্টোরিতে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন যেগুলো আপনি প্রতিবার মুছে দিতে চান এবং Ok চেপে বের হয়ে আসুন।
১৩
ব্যাস হয়ে গেল, আপনার ব্রাউজার কিছুটা হলেও আগের মত দ্রুত কাজ করবে। এই নিয়মগুলো অনুসরন করেই আপনি সহজে আপনার ব্রাউজারকে ফাস্ট রাখতে পারেন। যদি, আবার ল্যাগি মনে হয় তবে প্লাগিন এবং এস্কটেনসন চেক করে দেখবেন যে নতুন করে কিছু জমে গিয়েছে কিনা।
Read more ...

২৫ ডলার মূল্যের স্মার্টফোন আনছে মজিলা !

Julianna | 3:28 AM | Be the first to comment!
Mozilla OS খ্যাতনামা ব্রাউজার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মজিলা এবার আনতে যাচ্ছে বিশ্বের সবথেকে কম মূল্যের স্মার্টফোন । সম্প্রতি মজিলা চায়নিজ চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্প্রীডট্রাম এর সাথে একটি অংশীদারীত্বের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, যার ফলে তারা বিশ্বের সর্বাপেক্ষা কমমূল্যের স্মার্টফোন আনবে যার জন্য গুণতে হবে ২৫ মার্কিন ডলার।

২৫ মার্কিন ডলার মূল্যের এই স্মার্টফোনে থাকবে ৩.৫ ইঞ্চি স্ক্রীন, যার রেজুলেশন হবে ৩২০x৪৮০ পিক্সেলের। ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমে চালিত এই ফোনে আরো থাকবে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এফ এম রেডিও ও অন্যান্য সুবিধা। এই ফোনের রিয়ার ক্যামেরা হবে ২ মেগাপিক্সেলের। এই ফোনের ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে ব্যবহৃত হবে মজিলা ফায়ারফক্স, যেখানে থাকবে এইচটিএমএল৫ সাপোর্ট সুবিধা।
তবে এখন পর্যন্ত এই ফোনের বিষয়ে মজিলা কোন ধরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।
Read more ...

শিগগিরই উইন্ডোজ ফোনে আসছে ফেসবুক মেসেঞ্জার

Julianna | 3:27 AM | Be the first to comment!
মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা জো বেলফিওর এবার ফেসবুক মেসেঞ্জার উইন্ডোজ ফোনে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। ফেসবুকে চ্যাট করার জন্য জনপ্রিয় এই অ্যাপ্লিকেশনটি আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অনেকদিন ধরে থাকলেও উইন্ডোজ ফোনে এখনও নেই। তবে শিগগিরই উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীদের ফেসবুক মেসেঞ্জারের জন্য অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, উইন্ডোজ ফোন মুক্তি পাওয়ার সময়ই ফেসবুক মেসেঞ্জার বিল্ট-ইন অ্যাপ হিসেবে দেয়া ছিল। তবে ফেসবুকের নতুন মেসেঞ্জার অ্যাপের অনেক সুবিধাই উইন্ডোজ ফোনের মেসেঞ্জারে অনুপস্থিত। যে কারণে উইন্ডোজ ফোন ব্যবহারকারীরা অনেকদিন ধরেই মেসেঞ্জার মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
ফেসবুক মেসেঞ্জার ‘শিগগিরই’ উইন্ডোজ ফোনে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। অবশ্য ফেসবুকের সম্প্রতি কিনে নেয়া মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ ইতোমধ্যেই উইন্ডোজ ফোনে রয়েছে। পাশাপাশি ফেসবুকের আরও আগে কেনা ছবি শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইন্সট্যাগ্রামের অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে উইন্ডোজ ফোনে, যেটি পরীক্ষামূলকভাবে গত নভেম্বরে চালু করা হয়।
Read more ...

স্যামসাং চ্যাটঅন অ্যাপে এলো লোকেশন-শেয়ারিং সুবিধা

Julianna | 3:26 AM | Be the first to comment!
ব্ল্যাকবেরির মতো স্যামসাং-এরই রয়েছে নিজস্ব চ্যাটিং অ্যাপ্লিকেশন। আর সেই অ্যাপ্লিকেশন নিয়মিত আপডেটও করে থাকে স্যামসাং। তারই ধারাবাহিকতায় চ্যাটঅন নামের এই অ্যাপ্লিকেশনে আসছে লোকেশন শেয়ারিং-এর সুবিধা।
দি নেক্সট ওয়েব এক খবরে জানিয়েছে, কোরিয়ান কোম্পানিটি গ্লিম্পস নামের একটি ফার্মের সঙ্গে তাদের পার্টনারশিপের খবর জানিয়েছে যার মাধ্যমে তারা ব্যবহারকারীদের লোকেশন-শেয়ারিং-এর সুবিধা দিতে পারবে।
চ্যাটঅন অ্যাপ্লিকেশনটি বিশেষ করে স্যামসাং-এর ফিচার ফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হলেও প্রতিদ্বন্দ্বী মেসেজিং অ্যাপগুলোর মতো অনেক সুবিধাই এতে এখনও অনুপস্থিত। বিশেষ করে লোকেশন শেয়ারিং অনেক আগে থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ, লাইন, উইচ্যাট ইত্যাদি মেসেজিং অ্যাপগুলোতে রয়েছে।
অবশ্য স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ‘চ্যাটঅন’ পুরনো খবর মনে হতে পারে। সেই ধারণা ভাঙাতেই স্যামসাং জানিয়েছে, তাদের রয়েছে ১৮০ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ইউজার, যে সংখ্যাটা গত সেপ্টেম্বর থেকে ১০০ মিলিয়ন বেড়েছে। স্যামসাং-এর বেশ কিছু ডিভাইসে অ্যাপটি প্রি-ইন্সটলড থাকে। এছাড়াও আইওএস, অ্যান্ড্রয়েড, উইন্ডোজ ফোন ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও আলাদা অ্যাপ্লিকেশন হিসেবে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায় চ্যাটঅন।
Read more ...

Tuesday, February 18, 2014

যে সকল কারনে আপনার ফেইসবুক একাউন্ট ব্যান হতে পারে

Julianna | 8:52 PM | Be the first to comment!
আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার অধিকারী ফেইসবুক ব্যবহার করছেন প্রতিদিন। শত শত বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। একদিন ফেইসবুকে না ঢুকলে ভালো লাগে না। তবে আশংকার বিষয় হলো ফেইসবুক যেকোন সময় বিনা নোটিশে আপনার এই সখের একাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারে।
2010-06-30_015250
আর তাই আমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত এবং জানা থাকা উচিত যে সকল কারনে একটি ফেইসবুক একাউন্ট ব্যান হতে পারে। এই পোস্টে ফেইসবুক একাউন্ট ব্যান হওয়ার অন্যতম কিছু কারন নিয়ে লিখছি।

পর্নগ্রাফীঃ

এটি ফেইসবুক একাউন্ট ব্যান হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারন। আপনার ফেইসবুক প্রোফাইল বা অন্য কোথাও আপনি যদি এই ধরনের কোন ছবি বা ভিডিও ব্যবহার করেন, তাহলে ফেইসবুক আপনার একাউন্ট ব্যান করবে কোন এবিউজ রিপোর্ট অথবা নোটিশ ছাড়া।

ভাষার অপব্যবহারঃ

স্টাটাস আপডেট অথবা ম্যাসেজ আদান-প্রদান এর সময় আপনার ভাষার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বাজে ভাষা ব্যবহার করলে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কেউ আপনার নামে রিপোর্ট করতে পারে এবং ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ভূয়া প্রোফাইলঃ

আপনি যদি আপনার নিজের নামের বদলে কোন সেলিব্রেটি অথবা অন্য কারও নাম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার একাউন্ট বন্ধ করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।

হুমকি দেয়াঃ

কাউকে হুমকি দেয়ার জন্য কখনোই আপনার ফেইসবুক একাউন্ট ব্যবহার করবেন না। এমনকি মজা করার জন্য হলেও না। ফেইসবুক এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে নেয় এবং খুব দ্রুত একাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়।

স্প্যামিং করাঃ

শুধু ফেইসবুক না, পুরা ইন্টারনেট জগত এটিকে ঘৃনা করে। আপনার পন্য বা ওয়েব সাইট প্রোমোট করার জন্য ফেইসবুক একাউন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। তবে একটি নির্দিস্ট সীমা পর্যন্ত এটি করা যেতে পারে যেটি স্প্যামিং এর পর্যায়ে পড়ে না।

অতিরিক্ত বন্ধু রিকোয়েস্টঃ

প্রতিদিন ২০টির বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। যত কম হয় ততই ভালো। ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ হবার এটি আরেকটি অন্যতম কারন।

অনেক গ্রুপে জয়েন করাঃ

খুব বেশি গ্রুপে জয়েন না করাই ভালো। ফেইসবুক এটি ভাল চোখে দেখে না। আর গ্রুপগুলো থেকে ম্যাসেজ এসে আপনার ইনবক্স ভর্তি হয়ে যাবে প্রতিদিন।

অতিরিক্ত ম্যাসেজঃ

আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ওয়াল অথবা ইনবক্সে প্রতিদিন অনেক বেশি ম্যাসেজ পোস্ট করেন, তাহলে আপনার ফেইসবুক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর একই ম্যাসেজ বার বার দিতে চাইলে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন করে দিন। নাহলে ফেইসবুক এটি স্প্যাম হিসেবে ধরবে।
মূলত ফেইসবুক ব্যবহারের সময় এই বিষয়গুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখলে আপনার ফেইসবুক একাউন্ট ব্যান হওয়ার কোন আশাংকা থাকবে না। আর ফেইসবুক ব্যবহারও হয়ে উঠবে মজার ও সাচ্ছন্দময়।
Read more ...

Saturday, February 15, 2014

উইন্ডোজ ৮ এর মডার্ন ইউআই অ্যাপ চালান উইন্ডোতে।

Julianna | 12:47 AM | Be the first to comment!
উইন্ডোজ ৮ এর সবচাইতে বিরক্তিকর একটি ব্যাপার হচ্ছে এর সাথে দেয়া মেট্রো বা মডার্ন ইউআই অ্যাপগুলো শুধু ফুলস্ক্রীনেই রান করে। ছোট স্ক্রীনের জন্য ঠিক হলেও বড় স্ক্রীনের ব্যবহারকারীরা এতে মোটেও সন্তুষ্ট নন। এই অ্যাপগুলোকেই উইন্ডো-মোডে চালানোর জন্য রয়েছে মডার্ন মিক্স নামের অ্যাপটি। এর মাধ্যমে মডার্ন উইআই এর অ্যাপগুলোকে উইন্ডোড মোডে চালানো সম্ভভ।
অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন এখান থেকে:
ModernMIx
ইন্সটল এর পর একটি configuration window আসবে। সেখানে আপনার পছন্দমত configuration করুন। তবে নিচের ছবির মত কনফিগারেশন করলে ভাল হয়।



কনফিগারেশন হয়ে গেলে এবার আপনার ডেস্কটপকে আবারও আগের মত ব্যবহার করুন ট্যাবলেট মোড ছাড়াই।
Read more ...

গান শোনার সাথে সাথে সার্চ ছাড়াই দেখুন লিরিকস

Julianna | 12:46 AM | Be the first to comment!
ভিন্ন ভাষার গান শোনার সময় লিরিকস নিয়ে ঝামেলায় পরেন অনেকেই। এবার তাদের জন্য একটি অনন্য প্লাগিন নিয়েই এই পোস্ট।
এমন যদি হতো হিন্দি, ইংরেজী ও অন্যন্য ভাষার গানের প্রতিটি শব্দ বুঝতে পারছেন, তবে গান শোনায় নতুন মাত্রা যোগ হত।
আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব এমন একটি প্লাগইনস এর সাথে যেটি আপনাকে গানের প্রতিটি শব্দই বুঝিয়ে দেবে।
- ইন্টারনেটে লিরিকস সার্চের ঝামেলা থেকে বাচাবে।
- লিরিকস সফটওয়্যার ইন্সটল ও লিরিক্স লোডের ঝামেলা থেকে বাচাবে।
- প্লাগইনস টি ইন্সটল করার পর আপনাকে আর কিছুই করতে হবেনা। শুধু ইন্টারনেট কানেকশন অন রাখবেন, গানের প্রতিটি লিরিকস সাবটাইটেলের মত কথার সাথে সাথে আপনার চোখের সামনে ভাসবে।
আলাদা কোনো ইউন্ডো তে নয়, ডেক্সটপের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভাসতে থাকবে, মানোরম গ্রাফিক্সের সাথে।

প্রক্রিয়াঃ
1. প্রথমে মিডিয়া ফায়ারের এই লিংক থেকে 1.6 মেগাবাইটের প্লাগইনটি ডাউনলোড করুন। ভাইরাসমুক্ত কিজেন ভেতরে সংযুক্ত করা আছে।
2. Jet Audio, Winamp, KM player, সহ সব প্লোয়ারই সাপোর্ট করে এটি। ভালো পারফরম্যান্সের জন্য Winamp ব্যবহার করুন।
3. যেই mp3 ফাইলটি গুনবেন তার নাম সঠিক থাকতে হবে। অনেকসময় দেখা যায় গানের নাম Droona.mp3 বা My Heart Will Go On.mp3 কিন্তু পিসিতে 001Droooona.mp3, 002Titanic.mp3এসব নামে সেভ থাকে। গানের নামটি সবসময় সঠিক রাখুন।
4. ইন্টারনেট সংযোগ চালু রাখুন।
5. এবার গানটি চালু করুন যেকোনো প্লেয়ারদিয়ে। অটোমেটিক লিরিকস ভাসবে চোখের সামনে। এত সহজ ও তরলবৎ ইউজার ফ্রেন্ডলী সফট খুব কমই দেখেছি। (একাধিক লিরিক্স পেলে আপনাকে একটি সিলেক্ট করতে বলবে)
যদি লেখা ওঠে Please Search Lyrics তবে ওই লেখাটির উপরই ক্লিক করুন।
একবার ডাউনলোড হবার পর সেটি অটোমেটিক সেভ হয়ে থাকবে। আপনাকে বার বার ডাইনলোড করতে হবেনা।
স্ক্রিণ শট দেবার মত কিছুই নাই, কারণ সফটওয়্যারটি ইন্সটল করলেই সব কাজ নিজে থেকেই করে ফেলবে।
Read more ...

আপনার এন্ড্রয়েড মোবাইল কে বানিয়ে ফেলুন ডকুমেন্ট স্ক্যানার

Julianna | 12:36 AM | Be the first to comment!
এতদিন বাংলা রচনায় লিখতাম আধুনিক যুগ কম্পিউটার এর যুগ তবে এখন বলতে হচ্ছে আধুনিক যুগ স্মার্টফোনের যুগ। এখন একটি স্মার্টফোন এ পিসির প্রায় সকল কাজই করা যায়। এমনকি ডকুমেন্ট লিখা থেকে শুরু করে পিডিএফ মেকিং এখন সবই করা যায় এই স্মার্টফোন এ। ওয়ার্ড এক্সসেল এর কাজ অনেক সহজেই আপনি করে নিতে পারবেন ছোট এই স্মার্টফোন থেকেই। তবে আজ দেখাবো স্মার্টফোন এর আরেকটি মজার ব্যাবহার। আমাদের অনেকে ডকুমেন্ট স্ক্যান করেন কিংবা স্ক্যান করা ডকুমেন্ট OCR এর সাহায্যে সেটার টেক্সট গুলো ওয়ার্ড কিংবা ফাইল এ সেইভ করেন। এর জন্যে সাধারনত পিসি ইউজ করতে হয়। তবে যদি এমন হয় যে পিসি ছাড়া মোবাইল থেকেই স্ক্যান এর কাজ টি চালাতে পারেন? অনেক সময় বন্ধুর কাছ থেকে নোট নিয়ে সেটা টাইপ করতে হয় যদি পিসিতে রাখতে চান, স্মার্টফোন আছে? তাহলে আর টাইপ করতে হবেনা। মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করুন এবং সেটি ওয়ার্ড ফাইল এ সেইভ করে নিন মাত্র কয়েক মিনিট এ! কিভাবে? এই নিয়েই আজকের পোস্ট। চলুন দেখি…
পিসিতে যেমন কোন কাজ করতে সফটওয়্যার লাগে তেমনি স্মার্টফোন এ করতে চাইলেও কিছু অ্যাপ ইউজ করতে হবে। চলুন দেখে নেই কোন অ্যাপ কেমন কাজ করবে এবং কোনটা দিয়ে কি করতে পারবেন!
Google Drive
গুগল ড্রাইভ আমাদের অনেকেরই পরিচিত। অনেক এন্ড্রয়েড ডিভাইস এ বিল্ট ইন এই অ্যাপ টি থাকে। আমরা সাধারনত এই অ্যাপ টি ডাটা ব্যাকআপ রাখার কাজে ইউজ করে থাকি। তবে এই অ্যাপ টির ও কিছু হিডেন ফিচার আছে যা অনেকেই জানিনা। এর মদ্ধে দুইটি ফিচার হলো আপনি গুগল ড্রাইভের সাহায্যে আপনি ছবি তুলে সেটি সরাসরি পিডিএফ আকারে সেইভ করতে পারবেন। এতে করে আপনি আপনার ডকুমেন্ট ক্যামেরা দিয়ে তুলে সরাসরি সেই ডকুমেন্ট এর ছবিকে ডকুমেন্ট ফাইল আকারে সেইভ করতে পারবেন। এছড়াও আরেকটি ফিচার হলো তোলা ছবিতে থাকা টেক্সট গুলোকে টাইপ না করেই ওয়ার্ড কিংবা ডকুমেন্ট ফাইল এ নিতে পারবেন। একে OCR ও বলা হয়।
http://i1.wp.com/fs02.androidpit.info/userfiles/4471351/image/Scanner/scan1.jpg?w=620
Download Google Drive
Evernote
এন্ড্রয়েড জগতে পপুলার একটি অ্যাপ হল Evernote. এই অ্যাপ এর সাহায্যে আপনি যেকোনো কিছু স্ক্যান করে OCR করতে পারবেন। এর কাজ অনেকটা গুগল ড্রাইভ এর মতই।
http://i1.wp.com/fs01.androidpit.info/userfiles/4471351/image/Scanner/scan2.jpg?w=620
Download Evernote
Scan to PDF
Scan to PDF অ্যাপ এর সাহায্যে আপনি যেকোনো কিছু স্ক্যান করে সরাসরি পিডিএফ ফাইল এর রুপান্তর করতে পারবেন। এছারাও এই অ্যাপটিতে স্ক্যানিং এর জন্য রয়েছে কিছু আধুনিক ফিচার। ইউজ করলেই বুঝতে পারবেন। তবে এই অ্যাপ এ থাকছেনা কোন OCR ফিচার।
http://i2.wp.com/fs02.androidpit.info/userfiles/4471351/image/Scanner/scan3.jpg?w=620
Download APk- Scan to PDF Apk
উপরে দেয়া তিনটি অ্যাপ আপনার মোবাইল এ স্ক্যানিং এর ঝামেলা মিটাবে। এছাড়াও আরও অনেক অ্যাপ রয়েছে তবে ফ্রি এর মদ্ধে এই অ্যাপ গুলো বেস্ট।
Read more ...

ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ

Julianna | 12:36 AM | Be the first to comment!
  প্রযুক্তির এই সময়ে অনেক রকমের ডিভাইসের মাঝে অন্যতম একটি খুবই প্রয়োজনীয় ডিভাইস হচ্ছে ‘ল্যাপটপ’। প্রয়োজনের তাগিদে প্রযুক্তি পন্যগুলো আস্তে আস্তে যেন ছোট হয়ে আসছে। চিপ, মাইক্রো চিপ, ন্যানো চিপ – যেন চলছে প্রযুক্তিকে সাধারন দৃষ্টি সীমার বাইরে নেবার। এরকম চেষ্টা চলছিল বলেই হয়ত আজকে আমি আমার ল্যাপটপটি দিয়ে লিখে যেতে পারছি।
এসপ্তাহেই আমি দু’টি ল্যাপটপ কিনেছি। না, কোনটিই আমার জন্যে নয়। আমার ভূমিকা সীমাবদ্ধ ছিল ‘সাজেশন দাতা’ হিসেবেই। এই দুটি ল্যাপটপ কেনার পর বা সঠিক ভাবে বললে সাজেস্ট করার পর মনে হল যে এই প্রসঙ্গে একটি সচেতনতা মূলক ব্লগ পোষ্ট লিখলে সবার না হোক, অন্তত দু’এক জনের উপকারেতো আসবেই। সবাইতো আর টেক গিক নয়, অবশ্য ল্যাপটপ কেনার ব্যাপারে টেক গিক হবার প্রয়োজনও কই? যাই হোক, এজন্যেই আজকের এই ব্লগ পোষ্টটি লিখতে বসা। চলুন, দেখা যাক আপনাদের উপকারে আসতে পারি কি না।
আকারে তুলনামূলক ভাবে ছোট, ওজনে কম এবং সহজে বহনশীল – এভাবেই হয়ত ল্যাপটপকে করা যায় সংজ্ঞায়িত। বেশির ভাগ মানুষেরই তাদের কম্পিউটারের হাতেখড়ি শুরু হয়ে থাকে ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে এবং পরবর্তী সময়ে সময় এবং প্রয়োজনের তাগিদে তারা ল্যাপটপ কিনে থাকেন। ডেস্কটপ কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে যারা কিছুটা হলেও জানেন তাদের জন্য আসলে ল্যাপটপ কেনাটা খুব সহজই হয়ে যায়, কেননা মূল দিক গুলোতে থাকেনা কোন প্রকারের পার্থক্য। তবে অনেক ডেস্কটপ ব্যবহারকারী রয়েছেন যাদের কম্পিউটারের জ্ঞান অনেকটাই মাইক্রোসফট অফিস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয় ল্যাপটপ কিনতে গেলে কেননা তারা কষ্ট বা অনেক সময় সনাতন ভয়ের কারনে মাইক্রোসফট অফিসের গন্ডি থেকে না বেরিয়ে কখনোই হার্ডওয়্যার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেননি। যাই হোক, আপনি যদি এমন হয়ে থাকেন তবে আপনি আশা করছি সঠিক পোষ্টটিই পড়ছেন। পড়তে থাকুন, কাজে লাগবেই।
এখন আর কথা না বাড়িয়ে আমি শুরু করছি যে ঠিক কোন কোন বিষয়গুলো একটি ল্যাপটপ কেনার আগে মাথায় রাখা উচিৎঃ
প্রয়োজন এবং সাধ্যঃ আপনাকে প্রথমে আপনার নিজের প্রয়োজনটাকে এবং আপনার সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে হবে। আপনার সাধ্য এবং প্রয়োজনের মাত্রার উপরেই আসলে নির্ভর করে আপনার কোন ধরনের কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রয়োজন। বাজারেতো অনেক ধরনেরই ল্যাপটপ পাওয়া যায়। বিভিন্ন রকমের কনফিগারেশনের সেই ল্যাপটপগুলোর দামও হয় ভিন্ন ভিন্ন, তাই আপনার চাহিদা বুঝেই প্রথম সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ আপনার। সেক্ষেত্রে, আপনি যদি বাড়িতে বসেই হাই গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান তার জন্য আপনার ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে এলিয়েনওয়্যার কেনারতো কোন প্রয়োজন নেই। কেননা, ঐ দামে আপনি ডেস্কটপ কম্পিউটার কনফিগার করলে এরচেয়েও ভালো পারফর্মেন্স পাবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধরছি, আপনার ল্যাপটপই লাগবে। আপনি সেই ল্যাপটপটি দিয়ে কি করতে চান? গান অথবা মুভি দেখবেন? মাইক্রোসফট অফিসে ভার্সিটির অ্যাসাইনমেন্ট প্রস্তুত করবেন নাকি অফিসের কাজ? হালকা-পাতলা গেম খেলবেন? – এই সবগুলো কাজই যদি হয়ে থাকে আপনার মূল বা স্বাভাবিক কাজ তবে এর জন্য খুব ভালো কনফিগারেশনের একটি ল্যাপটপ দরকার নেই। সেলেরন প্রসেসর বা ডুয়াল কোর প্রসেসরের একটি ল্যাপটপই আপনার এই চাহিদা গুলো পূরন করে দেবে খুব সহজেই। হয়তোবা সেলেরন আর ডুয়াল প্রসেসর আপনাকে ‘উচ্চ মানে গেম’ খেলতে সাহায্য করবেন না তবে আগেই আমি উল্লেখ করেছি ‘হালকা-পাতলা গেম’-এর কথা। আপনি যদি কিছুটা অ্যাডভান্স লেভেলের কাজ ল্যাপটপ দিয়ে করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ল্যাপটপের বাজেট বাড়াতে হবে। ধরুন, আপনি ভিডিও এডিট করতে চাচ্ছেন মোটামুটি প্রফেশনালি, তবে আপনার ল্যাপটপের র্যা ম বেশি হতে হবে। সাথে প্রসেসরটিও হতে হবে কিছুটা উন্নত মানের, লাগবে ভালো মানের গ্রাফিক্স সাপোর্ট। আর আপনি যদি ভালো ভালো গেম খেলতে চান হাই-পারফরমেন্সে তবেতো কথাই নেই, আপনাকে সোজাসুজি চলে যেতে হবে গেমিং সিরিজের ল্যাপটপের লাইনে। আবার আপনি স্লিম ল্যাপটপ চান কিনা – এটাও এযুগে ভেবে দেখবার মত একটি বিষয়।
আসলে ‘প্রয়োজন বুঝে’ কেনাটাই ল্যাপটপ কেনার আগে খেয়াল করার মত বিষয়গুলোর সবচাইতে বড় একটি দিক। এখন আমি ভেঙ্গে ভেঙ্গে ল্যাপটপের হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট গুলো কি রকম বেছে নেয়া উচিৎ বলতে চেষ্টা করবো, কারও দ্বিমত থাকতেই পারে আমার মতামতের সাথে; সেক্ষেত্রে, আমি দুঃখিত।
প্রোসেসরঃ ডেস্কটপ কম্পিউটারের কথা বলি আর ল্যাপটপ, ‘প্রোসেসর’ হচ্ছে এই দুটি ডিভাইসেরই মূল অংশ। ‘প্রসেসর’, যার কাজ সহজে বললে বলতে হয় ‘প্রোসেস করা’। আপনার কম্পিউটারটির মাঝে প্রতিটি সেকন্ডে আপনার এবং মেশিনের, দুজনের ইন্সট্রাকশনই প্রসেস করে থাকে। এখন প্রসেসরের শক্তির রকম ভেদ করা হয় প্রতিসেকেন্ডে বা একটি একক সময়ে এর প্রসেস করার ক্ষমতার উপর। বর্তমান সময়ে এ.এম.ডি এবং ইন্টেলের প্রসেসরের ল্যাপটপ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তবে ব্র্যান্ডের দৌড়ে এখন পর্যন্ত ‘ইন্টেলের’ প্রসেসর বিশিষ্ট ল্যাপটপই বাজারে বেশি দেখা যায়। ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসরের ‘জেনারেশন’ এবং এর ‘ক্লক-স্পিড’ খেয়াল করে কেনা উচিৎ। ‘জেনারেশন’ বা ‘প্রজন্ম’ থেকেই মোটামুটি বেসিক তথ্য আন্দাজ করে নেয়া সম্ভব। যেমন, ৩য় প্রজন্মের প্রসেসর একটি ল্যাপটপ নিশ্চয়ই একই সিরিজের ৪র্থ প্রজন্মের প্রসেসরের কার্যক্ষমতাকে হারাতে পারবেনা। উল্লেখ্য, সর্বশেষ বাজারে আসা সর্বশেষ জেনারেশেনের প্রসেসর বিশিষ্ট ল্যাপটপ গুলো কিছুটা দামী হয়ে থাকে, সেই সাথে এদের কার্যক্ষমতাও। ডেস্কটপের মত ল্যাপটপে প্রসেসর আপগ্রেড করা যায়না। যদিও, আপনি আপনার একই সিরিজের একই মডেলের মাদারবোর্ড এর সকেট সমর্থিত প্রসেসর আপগ্রেড করতে পারেন তবে এটা খুবই ঝামেলার একটি প্রোসেস এবং অভিজ্ঞ ব্যাক্তির সহায়তা ছাড়া একাজটি একদমই করা উচিৎ হবেনা। তাই, চেষ্টা করা উচিৎ ল্যাপটপ কেনার সময়েই ভালো মানের প্রসেসর যুক্ত একটি ল্যাপটপ কেনা।
র‍্যামঃ আপনার ল্যাপটপের র‍্যামের মেমরী যত বেশি হবে আপনার ল্যাপটপটি তত দ্রুত লাগবে আপনার কাছেই। স্বাভাবিক ভাবে ২ গিগাবাইট এবং ৪ গিগাবাইট র‍্যাম মেমরী বিশিষ্ট ল্যাপটপ বাজারে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে তবে এটি সহজেই আপনি পরবর্তী সময়ে যোগ করতে পারবেন। এছাড়াও মেমরী টাইপ এবং এর বাস স্পিড এর দিকে খেয়াল রাখবেন। বর্তমান বাজারে DDR3 মানের মেমরী টাইপের ল্যাপটপ ছাড়া আপাতত চোখে পড়েনি আমার। আপনি যত মেমরী বিশিষ্ট ল্যাপটপই কিনতে চান খেয়াল রাখবেন ল্যাপটপটি সর্বোচ্চ কত পরিমানের র‍্যাম সাপোর্ট করে থাকে যেন পরবর্তীসময়ে ইচ্ছেমত আপনি র‍্যাম লাগিয়ে নিতে পারেন।
জি.পি.ইউঃ ‘গ্রাফিক্স প্রোসেসিং ইউনিট’ একটি গুরুত্ব পূর্ন কম্পোনেন্ট। সাধারন ভাবে ল্যাপটপের মূল চিপে বিল্ট ইন গ্রাফিক্স হিসেবে ইন্টেল এইচডি ৩০০০/৪০০০ দেয়াই থাকে তবে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে আপনি গ্রাফিক্স ছাড়া একটি ল্যাপটপ কেনার পর পরবর্তী সময়ে আপাতত আপনি গ্রাফিক্স কার্ড যোগ করতে পারবেন না। তাই, চেষ্টা করুন ‘গ্রাফিক্স কার্ড’ সম্বলিত একটি ল্যাপটপ কেনার। বর্তমান বাজারে ১ গিগাবাইট ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কার্ড বিশিষ্ট ল্যাপটপ ৩৮-৪০ হাজার টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে।
ডিসপ্লে / মনিটরঃ এটিও আসলে আপনার চাহিদার সাথেই সম্পর্কিত। কাজ করা জন্য স্বাভাবিক ভাবে ১৪” স্ক্রিনের ল্যাপটপ গুলো বেশি জনপ্রিয়। তবে, আপনি আপনার কাজের ধারা অনুযায়ী মনিটর কিনতে চেষ্টা করুন। বর্তমান বাজারে মনিটর এর মাপ যাই হোক না কেন এলসিডি মনিটরগুলোই জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে। অবশ্য আমার এই জরিপ ব্যাক্তিগত এবং টাকা এই জরিপে উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করেছে। তবে চোখের জন্য ‘এলইডি’ মনিটরই ভালো হবে।
হার্ড ডিস্কঃ সাধারণত ২৫০ গিগাবাইট, ৩২০ গিগাবাইট, ৫০০ গিগাবাইট, ৭৫০ গিগাবাইট এবং ১ টেরাবাইটযুক্ত ল্যাপটপ গুলোই বাজারে বেশি পাওয়া যায়। তবে, আপনি ইচ্ছে করলেই আপনার হার্ড ডিস্ক আপগ্রেড করতে পারবেন, সেক্ষেত্রে প্রথমেই খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। তবে হার্ডিডিস্কের আরপিএম চেক করে ল্যাপটপ কিনতে ভুলবেন না।
ব্যাটারীঃ ল্যাপটপ কেনার সময় এর ব্যাটারী ব্যাক আপ সম্পর্কে অবগত হন। ল্যাপটপ যখন খুশি যেখানে ইচ্ছা আপনি ব্যবহার করতে পারছেন সেটাতো এই ল্যাপটপের কারনেই। বাজারে ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে ৪ সেল এবং ৬ সেলের ব্যাটারী পাওয়া যায়।
অন্যান্যঃ আরও কিছু ছোট ছোট বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ ল্যাপটপ কেনার ক্ষেত্রে। যেমন, ল্যাপটপের ওজন। একটু বাজার ঘুরলেই আপনি বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানির তৈরী আল্ট্রা স্লিম ল্যাপটপ দেখতে পারবেন যেগুলো খুবই আকর্ষনিয়। আল্ট্রা বুকের ক্ষেত্রে অবশ্য দাম কিছুটা হলেও বেশি পরবে তবে এতে করে আপনার ল্যাপটপটি দেখতে আকর্ষনিয় হবে এবং এর ওজনও হবে কম। যারা ল্যাপটপ ব্যাক প্যাকে নিয়ে চলাফেরা করি তারা ভালো করেই জানেন যে একটি ভারী ল্যাপটপ বহন করা কতটা ঝামেলার।
ওয়েবক্যামঃ ল্যাপটপের সাথে একটি ওয়েব ক্যামেরা দেয়া থাকে যাতে করে আপনি ভিডিও কল, ভিডিও চ্যাট অথবা ভিডিও কনফারেন্সের মত জরুরী কাজের পাশাপাশি টুক টাক সেলফিও মাঝে মাঝে তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে বর্তমানের ল্যাপটপ গুলোতে ২ মেগাপিক্সেলের ওয়েব ক্যামেরা যুক্ত থাকে এবং ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিগুলো এগুলোকে এইচডি বলেও দাবি করেন। তাই, ক্যামেরা কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন ওয়েব ক্যামেরার মানের উপর।
সাউন্ডঃ আপনি যদি গান পাগল হয়ে থাকেন অথবা ল্যাপটপ দিয়ে মুভি দেখার কাজটা ভালো ভাবেই চালিয়ে নিতে চান তবে পারলে ল্যাপটপের সাউন্ডের ব্যাপারের সচেতন হন। দামি ল্যাপটপ গুলোতে স্পিকারের পাশাপাশি উফারও দেয়া থাকে এবং সেক্ষেত্রে মোটামুটি ভালো মানের সাউন্ড পাওয়া যায়। তবে উফার ছাড়া ল্যাপটপ গুলোর সাউন্ডের মান ঠিক ততোটা ভালো হয়না। আমি ডেল এবং এইচপি’র তিনটি ল্যাপটপ পরীক্ষা করে দেখেছি। তিনটির একটিরও সাউন্ড কোয়ালিটি আমার ভালো লাগেনি। অবশ্য, ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ছোট স্পিকার ব্যবহার করতে হয় বলে হয়তো এর সাউন্ড কোয়ালিটি ততটা আশানুরুপ হয়না, এই ব্যাপারটিতে আমি নিশ্চিত নই।
ইউ.এস.বি পোর্টঃ বর্তমানে বাজারে যে সকল ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর সবগুলো পোর্ট অথবা দু’টি পোর্ট সাধারনত ইউ.এস.বি ৩ পোর্টের হয়ে থাকে। ইউ.এস.বি ৩ পোর্টের সাহায্যে আপনি কিছুটা দ্রুত ডাটা ট্রানসফার করতে পারবেন।
বডিঃ বিভিন্ন রকমের বডির প্রকারভেদে ল্যাপটপ পাওয়া যাচ্ছে এখন। মেটাল ফিনিশ, প্লাস্টিক, ম্যাট – এর মাঝে আমার ম্যাট ফিনিশিং এর ল্যাপটপই বেশি পছন্দ। তবে, আপনার পছন্দ নিশ্চয়ই আমার পছন্দ থেকে আলাদা হতেই পারে।
মূলত এই ব্যাপারগুলোর উপর লক্ষ্য রেখেই ল্যাপটপ কিনতে হয়। আপনি বাজারে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কিনতে পারেন এবং কেনার সময় ওয়ারেন্টির কাগজ পত্র দেখে নিন। বাজারে বর্তমানে প্রায় সব ল্যাপটপের সাথেই ৩ বছরের ওয়ারেন্টি থেকে থাকে। ৩ বছরতো আর কম সময় নয়, আর ভালো ব্র্যান্ডের একটি দামি ল্যাপটপও যে নষ্ট হবেনা তা-ও নয়। তাই ভালো করে ওয়ারেন্টি’র কাগজ পত্র গুলো দেখে নিন। আর, ল্যাপটপের ড্রাইভার এর ব্যাক-আপ অথবা ডিস্ক বুঝে নিতেও ভুলবেন না।
ল্যাপটপ কিনতে চাইলে আপনি আইডিবি ভবনের রায়ানস, কম্পিউটার সোর্স, রিশিত কম্পিউটার্স, ড্যাফোডিল কম্পিউটার – দোকানগুলো ঘুরে কিনতে পারেন। আইডিবি ভবনে আরও অনেক দোকানই আছে তবে উল্লেখিত দোকানগুলোতে মোটামুটি বেশি কালেকশন পাওয়া যাবে। আর এদের সার্ভিস সেন্টার গুলো দ্রুত এবং ভালো সেবা প্রদান করে থাকে। আর, এই দোকানগুলোর বেশির ভাগেরই ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে শাখা রয়েছে।
ল্যাপটপ কেনার সময় পারলে অভিজ্ঞ কাউকে নিয়ে যাবেন। আপনি যদি ল্যাপটপের বিষয়ে দক্ষ না হয়ে থাকেন তবে এমন কাউকেও নেবেন না যে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না।
আশা করি, আজকের এই ব্লগ পোষ্টটি কিছুটা হলেও আপনাকে গাইড করবে ল্যাপটপ কেনার বিষয়ে। এখন আপনি আপনার সাধ, সাধ্য এবং পছন্দের সমন্বয়ে কিনে ফেলুন একটি ভালো মানের ল্যাপটপ এবং পারলে শেয়ার করে ফেলুন আপনার এক্সপেরিয়েন্স। ভালো থাকবেন।
Read more ...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.