Wednesday, June 18, 2014

ফ্রিল্যান্সিং খাতে করারোপের প্রস্তাব

Julianna | 12:52 AM |
                         বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা পরিচালনায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) করারোপের প্রস্তাব করেছে। যদিও আয়কর অধ্যাদেশে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকটিভিটির কোনো সংজ্ঞা নেই। তাই রাজস্ব আয়ের এ খাত থেকে করারোপে অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা করেছে। শুক্রবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আসন্ন অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনের সমন্বয়ক আবদুল খালেক এ প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, 'প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সিং য়ের মাধ্যমে দুই কোটি ডলার আয় করছে বাংলাদেশ। নিয়মকানুনের আওতায় এনে এ খাত থেকে সরকার বছরে ১০ কোটি ডলার আয় করতে পারবে।' সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সংগঠনের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেন। এ সময় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এফআইসিসিআই সভাপতি রুপালী চৌধুরীসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে অফশোর এবং অনশোর ব্যাংকিংয়ে কর কমানোর সুপারিশ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতের বড় একটি অংশে বিনিয়োগ করে বিদেশিরা। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে অফশোর ব্যাংকিংয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত কর নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এ হার ৪২.৫। এ কর হার ২০ শতাংশের বেশি হলে এ খাতে বিনিয়োগকারী পাওয়া যাবে না।' করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আবদুল খালেক বলেন, 'মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় এনে করমুক্ত আয়সীমা দুই লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা করা উচিত।' এ ছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে করযোগ্য আয়ের সীমা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ, ব্যক্তি শ্রেণীর কর হার ২০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। লেনদেনের ওপর অতিরিক্ত কর বিনিয়োগের প্রধান বাধা উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী নেতা বলেন, 'লভ্যাংশের ওপর ধার্যকৃত .০৫ শতাংশ কর ধার্য় এখন সময়ের দাবি।' সংগঠনের পক্ষ থেকে ঋণ হিসাবের ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত কম্পানিগুলোর লভ্যাংশের ওপর কর রেয়াত বাড়ানো, নন-পাবলিকলি ট্রেটেড কম্পানির করপোরেট কর ৩২.৫ শতাংশ নির্ধারণ, সব সেবা খাতের জন্য অভিন্ন মূসক পদ্ধতি প্রবর্তনে সুপারিশ করা হয়। আলোচনাকালে ইউনিলিভার বাংলাদেশের ট্যাক্সসেশন ম্যানেজার সৈয়দ আহমেদ খান বলেন, 'পরিবেশকদের ৫ শতাংশ উৎসে কর আদায় আয়কর আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এটা পরিবেশকদের ওপর অতিরিক্ত চাপ। তাই অচিরেই এ কর মওকুফ করা উচিত।' তিনি আরো বলেন, 'নতুন ভ্যাট আইনে এখনো কিছু জটিলতা রয়েছে। এসব জটিলতা দূর করে ভ্যাট আইন প্রণয়ন করতে হবে।'

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites More

Search

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Powered by Blogger.