তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানুষকে কোডিং শেখানো ধীরে ধীরে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আর এর মাধ্যমে দারিদ্র্যের করাল থাবা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। আর ১০০ বাংলাদেশীকে নিয়ে এই কাজটিই শুরু করতে যাচ্ছে ড্যানিশ ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান CodersTrust.
আর এই বাছাইকাজের জন্য CodersTrust প্রথমেই পরীক্ষা করেছে ওডেস্কে বিভিন্ন বাংলাদেশী ফ্রীল্যান্সার তাদের কাজ সম্পর্কে কতটা সৎ। এরপর তাদেরকে এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তাদের ২০০০ ডলারের ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে এই ঋণ একবারেই দেওয়া হবেনা। ঋণ প্রদানের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ তাদের শিক্ষার উন্নতির উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, প্রথমবার তাদের নির্দিষ্ট অঙ্কের ঋণ দেওয়া হবে। এরপর Code Academy কতৃক প্রতি ক্লাস উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী কিস্তি দেওয়া হবে। এরপর একই সাথে তারা তাদের আয় বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।
এই ঋণের টাকা মূলত প্রদান করা হবে গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে। আর এই উদ্যোগের সহযোগী স্কাইপের বিনিয়োগকারী মরটেন লুন্ড বলেন, “যারা দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে, তারা ক্লাসের কথা চিন্তা না করে পরবর্তী বেলায় কি খাবে, সেই চিন্তায় মগ্ন হয়।”
বাংলাদেশী প্রতি ৪ জনে ১ জন প্রতিদিন ২ ডলার কিংবা তার নিচে আয় করে। দৈনিক হিসেবে বর্তমানে ৩৯ মিলিয়ন মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। “আর এই দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে তাদের দরকার শুধু একটি ল্যাপটপ এবং ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা।” মনে করেন CodersTrust এর সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা Ferdinand Kjaerulff।
ফার্ডিনান্ড যখন CodersTrust প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তিনি একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করছিলেন। এর আগে তিনি কাজ করেছেন ইরাকে যেখানে তার কাজ ছিল জনগনের নিকট ইন্টারনেট এবং শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া। তাই তিনি অনুধাবন করতে পারেন, তৃতীয় বিশ্বে শিক্ষার গুরুত্ব কত।
No comments:
Post a Comment