শিরোনাম দেখে হয়ত অনেকেই হতভম্ভ হয়ে পড়েছেন। অনেকে ভাবছেন মন্তব্য
কিভাবে করব তাও আবার কারো কাছ জানা লাগে না কি! ব্লগে মন্তব্য করা একটি
ভালো অভ্যাস। তবে ইদানিং মন্তব্যের নামে চলছে অবিরাম স্প্যামিং।
“ধন্যবাদ”, “ভালো হয়েছে”,“ভালো পোস্ট” এই
জাতীয় পোস্ট কিন্তু স্প্যামিং এর নমুনা বহন করে। একটি সুন্দর গঠনমূলক
মন্তব্য যেমন সকলের নিকট সমাদর পায় তেমনি মন্তব্যকারীও সেই একই মর্যাদায়
অধিষ্ঠিত হয়। একটি সুরচিপূর্ণ মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেকে সকলের কাছে প্রকাশ
করা যায়। মন্তব্য প্রদান সম্পর্কিত কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই লেখাটি উপস্থাপনের
প্রয়াস চালানো হয়েছে।
প্রচলিত ধারা পরিহার করুন
সাধারণবভাবে বেশি ব্যবহৃত “ধন্যবাদ”, “ভালো হয়েছে”,“ভালো পোস্ট” এরকম মন্তব্যের ধারা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মন্তব্যটিকে লেখকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে নিজে থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন লেখকের কাছে তুলে ধরুন। এতে শুধুমাত্র মন্তব্যকারী একা উপকৃত হবেন না। বরং অন্যান্য পাঠকরাও সেই মন্তব্য ও তার প্রতিউত্তরে অনেক সুবিধা পাবেন। আপনার যেই প্রশ্ন আছে ঠিক সেই প্রশ্নটি অন্য কারোও থাকতে পারে। সুতরাং চেষ্টা করুন গ্রহনযোগ্য মন্তব্য প্রদানের। তবে আপনার কোন মন্তব্যে কেউ রিপ্লাই করলে তার একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য।
মন্তব্যে প্রদানের পূর্বে ব্লগের নীতিমালা পড়ুন
মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে সকলের উচিত যেকোন ব্লগের মতামত সম্পর্কিত নীতিমালা পড়ে নেওয়া। আপনি যদি কোন ব্লগের নতুন পাঠক হোন তাহলে সর্বপ্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত ব্লগের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলা। এতে কোন প্রকার ভুল বোঝা-বুঝির সমস্যা থাকে না। মতামত দেওয়ার সময়ও সতর্ক থাকা যায়।
পড়ুন, তারপর মন্তব্য করুন
অনেক সময় দেখা যায় বেশ কিছু অসাধু প্রকৃতির মানুষ ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার আশায় মূল টপিকটি না পড়েই হুটহাট মন্তব্য করে বসেন। অনেক সময় এ থেকে বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়। আবার কিছু প্রকৃতির মানুষ আছে যারা শুধুমাত্রই বিভ্রান্ত ছড়ানোর উদ্দেশ্য না বুঝে শুনে মন্তব্য করেন। এদের উদ্দেশ্য বলা যেতে পারে লেখককে অনুৎসাহিত করা। সকলকে বলব এধরনের মানসিকতা ত্যাগ উচিত। সম্পূর্ণ বিষয়বস্তুটি পড়ে এর পরিপূরক কোন মন্তব্য দেওয়া উচিত।
অপ্রাসাঙ্গিক মন্তব্য পরিহার
বিভিন্ন ব্লগে ভ্রমণকালে আমি দেখেছি যেই টপিকের উপর লেখা হয় আলোচনার সময় সেই টপিক এড়িয়ে অনেকে অফটপিকে চলে যায়। এতে কিন্তু লেখার মুড নষ্ট হয়ে যায়। অপ্রাসাঙ্গিক বিভিন্ন প্রশ্ন ও আলোচনায় পরিবেশ নষ্ট করে খুব একটা ফায়দা নেওয়া যায়। অফটপিকের জন্য খোঁজ করে দেখুন কোন আলাদা বিভাগ আছে কিনা। একজন ভালো মানের মন্তব্যকারী হওয়ার জন্য অপ্রাসাঙ্গিকতা ত্যাগ করে চলুন।
মন্তব্যের পরিধি
প্রশংসাই সবকথার শেষ নয়। “শর্ট এবং সুইট” শব্দ সবক্ষেত্রে কার্যকর নয়। মন্তব্য বেশী বড় হওয়া উচিত নয় আবার একেবারে ছোট হওয়াও ভালো নয়। চেষ্টা করুন মন্তব্যকে রুচিপূর্ণ ও মার্জিত রূপ দিতে। অনেক সময় মন্তব্যের আকার নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের প্রয়োজনের ওপর।
ওয়েব লিঙ্ক যুক্ত করুন
মন্তব্য প্রদানের সময় যদি ওয়েব লিঙ্ক যুক্ত করার ঘর থাকে তাহলে কখনও সেই ঘরটি ফাকা রাখবেন না যদি কিনা আপনার কোন ওয়েব পেজ থেকে থাকে। মন্তব্যে লিঙ্ক যুক্ত করার বেশ সুবিধা আছে। আপনি আপনার সাইটের জন্য বেশ কিছু ভিজিটর পেয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যকে আর্কষনীয় করে তুলুন। রুচিপূর্ণ মন্তব্য সকলেই পড়বে সেই সাথে লিঙ্কটিতে ক্লিক পড়তে পারে। তবে নামের ঘরে ওয়েবসাইটের নাম সরাসরি কখনই ব্যবহার করা উচিত না। নিজের আসল নামটি সব সময় দেওয়া উত্তম।
সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর পদটি নিজের করে রাখুন
বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগগুলো তাদের সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী বিভিন্ন পুরষ্কার
দিয়ে পুরষ্কৃত করে থাকে। সর্বোচ্চ মন্তব্যকারী হওয়ার মাধ্যমে নিজেকে চেনান
সাথে নিজের ব্লগকেও প্রমোট করুন। সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর প্রতি সকলেরই
দৃষ্টি থাকে। সুতরাং সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর পদটি নিজের করে রাখা একটি ভালো
অভ্যাস। তাই বলে স্প্যামিং করা মোটেই উচিত নয়।
মন্তব্যের সাথে গ্রাভাটার যুক্ত করুন
মন্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাভাটার ব্যবহার করা উচিত যাতে অন্যান্যরা আপনাকে চিনতে পারে। গ্রাভাটার.কম এ রেজিস্ট্রেশন করে নিজের একটি ছবি যোগ করুন যা পরবর্তীতে মন্তব্যের পাশে প্রদর্শিত হয়। গ্রাভাটার যুক্ত রাখলে লেখক আপনাকে স্প্যামার থেকে আলাদা ভাববে।
মতামত যেকোন ব্লগের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। শুধু মাত্র স্বার্থ বিবেচনায় মন্তব্য করা উচিত নয়। মন্তব্যের মাধ্যমে কোন ব্যাক্তির স্বাতন্ত্র সত্তা প্রকাশ পায়। তাই হুটহাট মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। অনেকের কাছে মনে হতে পারে ছোট মুখ বড় কথা। এগুলো মানা না মানা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে। নির্ভর করে মন-মানসিকতার ওপর। অস্বীকার করব না আমার নিজেরও বেশ ত্রুটি আছে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করছি।
আসুন সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের ও আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলি।
প্রচলিত ধারা পরিহার করুন
সাধারণবভাবে বেশি ব্যবহৃত “ধন্যবাদ”, “ভালো হয়েছে”,“ভালো পোস্ট” এরকম মন্তব্যের ধারা থেকে বেরিয়ে আসুন। আপনার মন্তব্যটিকে লেখকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলুন। সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ে নিজে থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন লেখকের কাছে তুলে ধরুন। এতে শুধুমাত্র মন্তব্যকারী একা উপকৃত হবেন না। বরং অন্যান্য পাঠকরাও সেই মন্তব্য ও তার প্রতিউত্তরে অনেক সুবিধা পাবেন। আপনার যেই প্রশ্ন আছে ঠিক সেই প্রশ্নটি অন্য কারোও থাকতে পারে। সুতরাং চেষ্টা করুন গ্রহনযোগ্য মন্তব্য প্রদানের। তবে আপনার কোন মন্তব্যে কেউ রিপ্লাই করলে তার একটি ধন্যবাদ প্রাপ্য।
মন্তব্যে প্রদানের পূর্বে ব্লগের নীতিমালা পড়ুন
মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে সকলের উচিত যেকোন ব্লগের মতামত সম্পর্কিত নীতিমালা পড়ে নেওয়া। আপনি যদি কোন ব্লগের নতুন পাঠক হোন তাহলে সর্বপ্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত ব্লগের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলা। এতে কোন প্রকার ভুল বোঝা-বুঝির সমস্যা থাকে না। মতামত দেওয়ার সময়ও সতর্ক থাকা যায়।
পড়ুন, তারপর মন্তব্য করুন
অনেক সময় দেখা যায় বেশ কিছু অসাধু প্রকৃতির মানুষ ব্যাকলিঙ্ক পাওয়ার আশায় মূল টপিকটি না পড়েই হুটহাট মন্তব্য করে বসেন। অনেক সময় এ থেকে বিভ্রান্তিরও সৃষ্টি হয়। আবার কিছু প্রকৃতির মানুষ আছে যারা শুধুমাত্রই বিভ্রান্ত ছড়ানোর উদ্দেশ্য না বুঝে শুনে মন্তব্য করেন। এদের উদ্দেশ্য বলা যেতে পারে লেখককে অনুৎসাহিত করা। সকলকে বলব এধরনের মানসিকতা ত্যাগ উচিত। সম্পূর্ণ বিষয়বস্তুটি পড়ে এর পরিপূরক কোন মন্তব্য দেওয়া উচিত।
অপ্রাসাঙ্গিক মন্তব্য পরিহার
বিভিন্ন ব্লগে ভ্রমণকালে আমি দেখেছি যেই টপিকের উপর লেখা হয় আলোচনার সময় সেই টপিক এড়িয়ে অনেকে অফটপিকে চলে যায়। এতে কিন্তু লেখার মুড নষ্ট হয়ে যায়। অপ্রাসাঙ্গিক বিভিন্ন প্রশ্ন ও আলোচনায় পরিবেশ নষ্ট করে খুব একটা ফায়দা নেওয়া যায়। অফটপিকের জন্য খোঁজ করে দেখুন কোন আলাদা বিভাগ আছে কিনা। একজন ভালো মানের মন্তব্যকারী হওয়ার জন্য অপ্রাসাঙ্গিকতা ত্যাগ করে চলুন।
মন্তব্যের পরিধি
প্রশংসাই সবকথার শেষ নয়। “শর্ট এবং সুইট” শব্দ সবক্ষেত্রে কার্যকর নয়। মন্তব্য বেশী বড় হওয়া উচিত নয় আবার একেবারে ছোট হওয়াও ভালো নয়। চেষ্টা করুন মন্তব্যকে রুচিপূর্ণ ও মার্জিত রূপ দিতে। অনেক সময় মন্তব্যের আকার নির্ভর করে ব্যক্তি বিশেষের প্রয়োজনের ওপর।
ওয়েব লিঙ্ক যুক্ত করুন
মন্তব্য প্রদানের সময় যদি ওয়েব লিঙ্ক যুক্ত করার ঘর থাকে তাহলে কখনও সেই ঘরটি ফাকা রাখবেন না যদি কিনা আপনার কোন ওয়েব পেজ থেকে থাকে। মন্তব্যে লিঙ্ক যুক্ত করার বেশ সুবিধা আছে। আপনি আপনার সাইটের জন্য বেশ কিছু ভিজিটর পেয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যকে আর্কষনীয় করে তুলুন। রুচিপূর্ণ মন্তব্য সকলেই পড়বে সেই সাথে লিঙ্কটিতে ক্লিক পড়তে পারে। তবে নামের ঘরে ওয়েবসাইটের নাম সরাসরি কখনই ব্যবহার করা উচিত না। নিজের আসল নামটি সব সময় দেওয়া উত্তম।
সর্বোচ্চ মন্তব্যকারীর পদটি নিজের করে রাখুন
মন্তব্যের সাথে গ্রাভাটার যুক্ত করুন
মন্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাভাটার ব্যবহার করা উচিত যাতে অন্যান্যরা আপনাকে চিনতে পারে। গ্রাভাটার.কম এ রেজিস্ট্রেশন করে নিজের একটি ছবি যোগ করুন যা পরবর্তীতে মন্তব্যের পাশে প্রদর্শিত হয়। গ্রাভাটার যুক্ত রাখলে লেখক আপনাকে স্প্যামার থেকে আলাদা ভাববে।
মতামত যেকোন ব্লগের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। শুধু মাত্র স্বার্থ বিবেচনায় মন্তব্য করা উচিত নয়। মন্তব্যের মাধ্যমে কোন ব্যাক্তির স্বাতন্ত্র সত্তা প্রকাশ পায়। তাই হুটহাট মন্তব্যের মাধ্যমে নিজের মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করার কোন যৌক্তিকতা নেই। অনেকের কাছে মনে হতে পারে ছোট মুখ বড় কথা। এগুলো মানা না মানা সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করে। নির্ভর করে মন-মানসিকতার ওপর। অস্বীকার করব না আমার নিজেরও বেশ ত্রুটি আছে সেগুলো সংশোধনের চেষ্টা করছি।
আসুন সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের ও আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলি।
No comments:
Post a Comment