সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা। পোস্টের
শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়ত উদগ্রীব বা কৌতুহলী আছেন কিভাবে গুগল
অ্যাডসেন্সের বিক্লপ হিসাবে অন্য সাইটকে বাছাই করবেন। আবার অনেকেই আছেন
বিশেষ করে যারা নবীন ব্লগার বা ভিজিটর তারা বুঝতে পারছেন না অ্যাডসেন্সের
বিকল্প হিসাবে কোন কোন সাইট কাজ হিসাবে গ্রহন করবেন বা কি সুবিধা রয়েছে।
তাদের সহজে বুঝার জন্যই আজকের এই পোস্টটি। তবে পোস্টের মূল আলোচনার
শুরুতে একটি কথা বলতে চাচ্ছি গুগল অ্যাডসেন্স নিয়ে কিভাবে কাজ করবেন,
কিভাবে গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় এবং গুগল অ্যাডসেন্স এর পরিবর্তে কোন
সাইটে কাজ করবেন সেই সব বিষয় নিয়ে একটি পোস্ট সাজিয়েছি। কিন্তু সামান্য
কিছু কাজ সম্পন্ন না হবার কারনে তা পাবলিশ করতে পারছিনা। আশা করি পরবর্তীতে
কোন একটি পোস্টে গুগল অ্যাডসেন্সসহ অন্যান্য সাইট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা
করা যাবে।
অবশ্য আজকের এই পোস্টে যে বিষয়গুলো আলোচনা করছি তাহা আমার নিজের কোন লেখা নাই। আমি নিয়মিত প্রথম আলো পড়ি। প্রতি শুক্রবারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কলামে বেশ কিছু প্রতিবেদন থাকে। সেই সূত্রে “প্রথম আলোর” আজকের প্রকাশনাতে গুগল অ্যাডসেন্সের বিকল্প হিসাবে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়। সেটি নিজেও পড়েছি, বেশ ভাল লাগল। এবং মনে করলাম এমন অনেক ভিজিটর বন্ধু আছেন যারা এই পর্বটি পড়লে বিজ্ঞাপণ সাইট সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা পাবেন। তাই আজকের এই সংকলন-
বর্তমানে নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জনকে অনেকে মূল পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। আবার এটাকে খণ্ডকালীন কাজ হিসেবেও নিচ্ছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভিজিটর সংখ্যা, মানে কতজন আপনার ওয়েবসাইট দেখছে। আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে, তত আয় বাড়বে। আর ওয়েবসাইট দেখার সংখ্যা বাড়াতে মানুষ বারবার সার্চ ইঞ্জিনে যে বিষয়গুলোর খোঁজ করে, এমন বিষয়ের ওপর তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি করলে বেশি সুবিধা পাবেন।
যাঁরা এখনো ভাবছেন বিষয়ভিত্তিক বা কনটেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন কী, তাঁদের জন্য বলে রাখি, আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, অর্থাৎ লেখা ও ছবির বিষয়ের ওপর নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনই বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞাপন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী আপনার সাইটের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছে। ফলে সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার হার বেড়ে যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপন থেকে আপনার আয় বেড়ে যাবে। বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করবেন। অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পেয়ে গেলে তো অবশ্যই ভালো। কিন্তু যদি অনুমোদন না পান তো সে ক্ষেত্রে কি চুপচাপ বসে থাকা ঠিক হবে?
অ্যাডসেন্সের মতো রয়েছে আরও অনেক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যেগুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের দেখার হারকে কাজে লাগিয়ে পেতে পারেন নিয়মিত অর্থ। তবে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক নির্বাচনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে খোঁজ নিতে হবে তারা মূলত কী ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে, তাদের সেবার মূলনীতি কী, টাকা উত্তোলনের মাধ্যম ও উত্তোলনের সর্বনিম্ন পরিমাণ, কোনো ধরনের খরচ আছে কি না, কোন অঞ্চলের ভিজিটরদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে ইত্যাদি। এখানে কিছু নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের খোঁজ দেওয়া হলো। এগুলো ছাড়া আরও নেটওয়ার্ক রয়েছে।
চিতিকা
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তারা মূলত ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থান ও ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়। চিতিকা পেপ্যাল ক্লিকভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। অর্থাৎ ভিজিটর যদি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তবেই আপনি টাকা পাবেন। শুধু বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য কোনো টাকা পাওয়া যায় না। পেপ্যালের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০ এবং চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার তোলা যায়। মোবাইল ফোনের জন্য বিজ্ঞাপনসহ চিতিকার রয়েছে বিভিন্ন আকারের এমনকি আপনার পছন্দমতো আকারের বিজ্ঞাপন তৈরির সুযোগ। তবে চিতিকা সম্পর্কে অভিযোগ আছে যে তারা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিটরদের জন্য টাকা দেয়। ঠিকানা: www.chitika.com
বিডভারটাইজার
এর সুবিধা গুলো হলোঃ ১. বাংলা ওয়েবসাইটে বিঞ্জাপন দেয় ।
২. সাইট সাবমিট করলে সহজে এ্যাপ্রোভ করে ।
৩.কঠিন কোন শর্ত নাই .যেমন আমার সাইটে আমি অনেকবার ক্লীক করেছি ।
৪.মাত্র ১০ ডলার হলে পেপাল ১০০ ডলার হলে চেক মাধ্যমে টাকা উঠানো যায় .প্রত্যক মাসে ৩০ তারিখে অবশ্যই পেমেন্ট পাওয়া যায় ।
৫.গতকাল ১০০ ডলার পেমেন্ট পেয়েছি সাথে ৮ ডলার কনভেজ বোনাস হিসেবে পেয়েছি ।
৬.বিডভারটাইজার আপনার সাইটের জন্য পার ক্লীক কত দিবে তা প্রথম থেকে নির্ধারন প্রত্যক ক্লিকে একই পরিমান আয় হবে.যেমন বাংলা সাইটের জন্য পার ক্লীক ৩সেন্ট থেকে ১০ সেন্ট ও ইংরেজী ও ভালো মানের সাইটের জন্য যেমনঃ আমার সাইটে পার ক্লীক $ ১ ডলার পর্যন্ত নির্ধারন করা আছে ।
৭. এখানে বড় যে সুবিধাটি আছে একজন ব্লগার হিসেবে তা বলতে পারলাম না .কারন আমি চাইনা অন্য ব্লগারদের ক্ষতি হোক ।
এক কথায় কোন শর্তের জালে আপনাকে আবদ্ধ করেনা বিডভারটাইজার
অসুবিধাগুলোঃ এরা বেশী ইমেজ এ্যাড দেয়না বেশী টেক্সট এ্যাড বেশী দেয়।
যে সাইটের জন্য এ্যাড নিবেন ঐ সাইটেই কোড বসাতে হবে (প্রত্যক সাইটের জন্য আলাদা আলাদা কোড নিতে হবে)
গুগল এ্যাডসেন্সঃ
১.এরা সহজে এ্যাকাউন্ট এ্যাপ্রোভ করেনা ।
২.বাংলা সাইট এ্যাডসেন্স নেয়না
৩.বিভিন্ন শর্তের জালে আবদ্ধ করে রাখে ।
৪. আমি হতাশ হয়েছি এত খড় কাঠ পুড়িয়ে একটা এ্যাকাউন্ট পেয়ে পার ক্লীক আয় ৮সেন্ট দেখে ।
গুগল এ্যাডসেন্সের বেশী সুবিধা হলো এরা ইমেজ এ্যাড বেশী দেয় যাতে প্রচুর
ক্লীক সম্ভবনা থাকে ।
আমার অভিঞ্জতা শেয়ার করলাম এবার যারা গুগল এ্যাডসেন্স পাননি তারা বিডভারটাইজার থেকে নিশ্চিন্তে এ্যাড নিতে পারেন ।আর যারা গুগল এ্যাডসেন্স পাবলিশার তাদের কে বলবো এ্যাডসেন্সের পাশাপাশি অন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে যাচাই করতে পারেন, এখানে দেখতে পারেন বা যোগ দিতে পারেন BidVertiser ধন্যবাদ । মতামতের আশায় রইলাম ।
ইয়াহু-বিং নেটওয়ার্ক
দুই সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু ও বিংয়ের যৌথ উদ্যোগে মিডিয়া ডট নেটের মাধ্যমে এই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। ইয়াহু ও বিং যৌথভাবে যেখানে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করছে, সেখানে বিজ্ঞাপনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ছোট কিংবা বড়, এমনকি অল্প ট্র্যাফিকের যেকোনো সচল ওয়েবসাইট তারা অনুমোদন করে থাকে। বিভিন্ন আকার ও থিম থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে আপনার জন্য একজন ব্যক্তিগত প্রতিনিধির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে, যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তাঁর কাছে সাহায্য পাবেন। পেপ্যাল কিংবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করতে পারবেন। ঠিকানা: www.media.net
ট্রাইবাল ফিউশন
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যদি প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ইউনিক ভিজিটর আসে, তবেই কেবল আপনি ট্রাইবাল ফিউশনে নিবন্ধনের কথা ভাবতে পারেন। তবে এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি থেকে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চেকে বা ব্যাংক ট্রান্সফারে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করা যায়।
ঠিকানা: www.tribalfusion.com
ম্যাড অ্যাডস মিডিয়া
এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক গুগল, ইয়াহু এবং অন্যান্য বড় নেটওয়ার্ক থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রদর্শন করে। অনেকটা সহজেই অনুমোদন পাওয়া যায় আর তা ছাড়া ক্লিকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দেখা, অর্থাৎ ইম্প্রেশনের জন্যও আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হতে থাকবে। ঠিকানা: www.madadsmedia.com
ক্লিকসর
অনুমোদন পাওয়ার কোনো ঝামেলা নেই। যেকোনো সচল ওয়েবসাইটেই আপনি ক্লিকসর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে বিজ্ঞাপনের ধরন নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ব্যানার ও লেখার বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপনে আপনার ভিজিটরকে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। পেপ্যাল অথবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার উত্তোলন করা যাবে।
ঠিকানা: www.clicksor.com
ইনফোলিংকস
ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডের ওপর ভিত্তি করে লিংক আকারে বিজ্ঞাপন থাকবে। কোনো ভিজিটর যদি সেই লিংকে ক্লিক করে, তবে ওয়েব পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হবে। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি বর্তমানে ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ইন-সার্চ, ইন-ফ্রেম ও ইন-ট্যাগ বিজ্ঞাপনী সেবা দিচ্ছে। ঠিকানা: www.infolinks.com
অবশ্য আজকের এই পোস্টে যে বিষয়গুলো আলোচনা করছি তাহা আমার নিজের কোন লেখা নাই। আমি নিয়মিত প্রথম আলো পড়ি। প্রতি শুক্রবারে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কলামে বেশ কিছু প্রতিবেদন থাকে। সেই সূত্রে “প্রথম আলোর” আজকের প্রকাশনাতে গুগল অ্যাডসেন্সের বিকল্প হিসাবে একটি তথ্য প্রকাশিত হয়। সেটি নিজেও পড়েছি, বেশ ভাল লাগল। এবং মনে করলাম এমন অনেক ভিজিটর বন্ধু আছেন যারা এই পর্বটি পড়লে বিজ্ঞাপণ সাইট সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা পাবেন। তাই আজকের এই সংকলন-
—————————————————————————–
অ্যাডসেন্সের বিকল্প
শিরোনামটা দেওয়া বোধ হয় কিছুটা ভুল হলো। কারণ, বর্তমানে ওয়েবসাইটে বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের জগতে গুগল অ্যাডসেন্সের রয়েছে একক আধিপত্য। অন্যভাবে বলতে গেলে, বিষয়টা যখন ওয়েব বিজ্ঞাপনের, তখন সবার প্রথম পছন্দ অ্যাডসেন্স। এই আধিপত্য গুগল এমনিতে পায়নি, অর্জন করে নিয়েছে। নির্ঝঞ্ঝাট অর্থ লেনদেন, সাপোর্ট ফোরাম, বেশিআয়ের সুযোগ এবং এক অ্যাকাউন্ট দিয়ে সবকটি অনুমোদিত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রকাশবা দেখানোর সুযোগ থাকায় মানুষের ঝোঁক অ্যাডসেন্সের দিকে। কিন্তু অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়া সহজ কথা নয়। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তবেই গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইট অনুমোদন করে। তা ছাড়া বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-এশীয় দেশগুলোতে রয়েছে আরও প্রতিবন্ধকতা। সব মিলিয়ে নতুন ওয়েবসাইটের জন্য অ্যাডসেন্সের অনুমোদন পাওয়া রীতিমতো স্বপ্নে পরিণত হয়েছে।বর্তমানে নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অর্থ উপার্জনকে অনেকে মূল পেশা হিসেবে নিচ্ছেন। আবার এটাকে খণ্ডকালীন কাজ হিসেবেও নিচ্ছেন অনেকে। এ ক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে ভিজিটর সংখ্যা, মানে কতজন আপনার ওয়েবসাইট দেখছে। আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি ভিজিটর আসবে, তত আয় বাড়বে। আর ওয়েবসাইট দেখার সংখ্যা বাড়াতে মানুষ বারবার সার্চ ইঞ্জিনে যে বিষয়গুলোর খোঁজ করে, এমন বিষয়ের ওপর তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি করলে বেশি সুবিধা পাবেন।
যাঁরা এখনো ভাবছেন বিষয়ভিত্তিক বা কনটেক্সচুয়াল বিজ্ঞাপন কী, তাঁদের জন্য বলে রাখি, আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, অর্থাৎ লেখা ও ছবির বিষয়ের ওপর নির্ভর করে প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপনই বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞাপন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী আপনার সাইটের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছে। ফলে সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার হার বেড়ে যায়, অর্থাৎ বিজ্ঞাপন থেকে আপনার আয় বেড়ে যাবে। বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করবেন। অ্যাডসেন্সে অনুমোদন পেয়ে গেলে তো অবশ্যই ভালো। কিন্তু যদি অনুমোদন না পান তো সে ক্ষেত্রে কি চুপচাপ বসে থাকা ঠিক হবে?
অ্যাডসেন্সের মতো রয়েছে আরও অনেক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক, যেগুলোর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের দেখার হারকে কাজে লাগিয়ে পেতে পারেন নিয়মিত অর্থ। তবে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক নির্বাচনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে খোঁজ নিতে হবে তারা মূলত কী ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে, তাদের সেবার মূলনীতি কী, টাকা উত্তোলনের মাধ্যম ও উত্তোলনের সর্বনিম্ন পরিমাণ, কোনো ধরনের খরচ আছে কি না, কোন অঞ্চলের ভিজিটরদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে ইত্যাদি। এখানে কিছু নির্ভরযোগ্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের খোঁজ দেওয়া হলো। এগুলো ছাড়া আরও নেটওয়ার্ক রয়েছে।
চিতিকা
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তারা মূলত ব্যবহারকারীর ভৌগোলিক অবস্থান ও ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তুর ওপর প্রাধান্য দেয়। চিতিকা পেপ্যাল ক্লিকভিত্তিক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। অর্থাৎ ভিজিটর যদি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তবেই আপনি টাকা পাবেন। শুধু বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য কোনো টাকা পাওয়া যায় না। পেপ্যালের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০ এবং চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার তোলা যায়। মোবাইল ফোনের জন্য বিজ্ঞাপনসহ চিতিকার রয়েছে বিভিন্ন আকারের এমনকি আপনার পছন্দমতো আকারের বিজ্ঞাপন তৈরির সুযোগ। তবে চিতিকা সম্পর্কে অভিযোগ আছে যে তারা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিটরদের জন্য টাকা দেয়। ঠিকানা: www.chitika.com
বিডভারটাইজার
এর সুবিধা গুলো হলোঃ ১. বাংলা ওয়েবসাইটে বিঞ্জাপন দেয় ।
২. সাইট সাবমিট করলে সহজে এ্যাপ্রোভ করে ।
৩.কঠিন কোন শর্ত নাই .যেমন আমার সাইটে আমি অনেকবার ক্লীক করেছি ।
৪.মাত্র ১০ ডলার হলে পেপাল ১০০ ডলার হলে চেক মাধ্যমে টাকা উঠানো যায় .প্রত্যক মাসে ৩০ তারিখে অবশ্যই পেমেন্ট পাওয়া যায় ।
৫.গতকাল ১০০ ডলার পেমেন্ট পেয়েছি সাথে ৮ ডলার কনভেজ বোনাস হিসেবে পেয়েছি ।
৬.বিডভারটাইজার আপনার সাইটের জন্য পার ক্লীক কত দিবে তা প্রথম থেকে নির্ধারন প্রত্যক ক্লিকে একই পরিমান আয় হবে.যেমন বাংলা সাইটের জন্য পার ক্লীক ৩সেন্ট থেকে ১০ সেন্ট ও ইংরেজী ও ভালো মানের সাইটের জন্য যেমনঃ আমার সাইটে পার ক্লীক $ ১ ডলার পর্যন্ত নির্ধারন করা আছে ।
৭. এখানে বড় যে সুবিধাটি আছে একজন ব্লগার হিসেবে তা বলতে পারলাম না .কারন আমি চাইনা অন্য ব্লগারদের ক্ষতি হোক ।
এক কথায় কোন শর্তের জালে আপনাকে আবদ্ধ করেনা বিডভারটাইজার
অসুবিধাগুলোঃ এরা বেশী ইমেজ এ্যাড দেয়না বেশী টেক্সট এ্যাড বেশী দেয়।
যে সাইটের জন্য এ্যাড নিবেন ঐ সাইটেই কোড বসাতে হবে (প্রত্যক সাইটের জন্য আলাদা আলাদা কোড নিতে হবে)
গুগল এ্যাডসেন্সঃ
১.এরা সহজে এ্যাকাউন্ট এ্যাপ্রোভ করেনা ।
২.বাংলা সাইট এ্যাডসেন্স নেয়না
৩.বিভিন্ন শর্তের জালে আবদ্ধ করে রাখে ।
৪. আমি হতাশ হয়েছি এত খড় কাঠ পুড়িয়ে একটা এ্যাকাউন্ট পেয়ে পার ক্লীক আয় ৮সেন্ট দেখে ।
গুগল এ্যাডসেন্সের বেশী সুবিধা হলো এরা ইমেজ এ্যাড বেশী দেয় যাতে প্রচুর
ক্লীক সম্ভবনা থাকে ।
আমার অভিঞ্জতা শেয়ার করলাম এবার যারা গুগল এ্যাডসেন্স পাননি তারা বিডভারটাইজার থেকে নিশ্চিন্তে এ্যাড নিতে পারেন ।আর যারা গুগল এ্যাডসেন্স পাবলিশার তাদের কে বলবো এ্যাডসেন্সের পাশাপাশি অন্য ওয়েবসাইট বানিয়ে যাচাই করতে পারেন, এখানে দেখতে পারেন বা যোগ দিতে পারেন BidVertiser ধন্যবাদ । মতামতের আশায় রইলাম ।
দুই সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু ও বিংয়ের যৌথ উদ্যোগে মিডিয়া ডট নেটের মাধ্যমে এই বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। ইয়াহু ও বিং যৌথভাবে যেখানে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করছে, সেখানে বিজ্ঞাপনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ছোট কিংবা বড়, এমনকি অল্প ট্র্যাফিকের যেকোনো সচল ওয়েবসাইট তারা অনুমোদন করে থাকে। বিভিন্ন আকার ও থিম থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন বেছে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে আপনার জন্য একজন ব্যক্তিগত প্রতিনিধির পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে, যেকোনো প্রয়োজনে আপনি তাঁর কাছে সাহায্য পাবেন। পেপ্যাল কিংবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করতে পারবেন। ঠিকানা: www.media.net
ট্রাইবাল ফিউশন
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে যদি প্রতি মাসে কমপক্ষে পাঁচ লাখ ইউনিক ভিজিটর আসে, তবেই কেবল আপনি ট্রাইবাল ফিউশনে নিবন্ধনের কথা ভাবতে পারেন। তবে এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি থেকে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। চেকে বা ব্যাংক ট্রান্সফারে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার উত্তোলন করা যায়।
ঠিকানা: www.tribalfusion.com
ম্যাড অ্যাডস মিডিয়া
এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্ক গুগল, ইয়াহু এবং অন্যান্য বড় নেটওয়ার্ক থেকে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে প্রদর্শন করে। অনেকটা সহজেই অনুমোদন পাওয়া যায় আর তা ছাড়া ক্লিকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন দেখা, অর্থাৎ ইম্প্রেশনের জন্যও আপনার অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হতে থাকবে। ঠিকানা: www.madadsmedia.com
ক্লিকসর
অনুমোদন পাওয়ার কোনো ঝামেলা নেই। যেকোনো সচল ওয়েবসাইটেই আপনি ক্লিকসর বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। তবে বিজ্ঞাপনের ধরন নির্বাচনে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ব্যানার ও লেখার বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপনে আপনার ভিজিটরকে ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। পেপ্যাল অথবা চেকের মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০ ডলার উত্তোলন করা যাবে।
ঠিকানা: www.clicksor.com
ইনফোলিংকস
ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপন। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডের ওপর ভিত্তি করে লিংক আকারে বিজ্ঞাপন থাকবে। কোনো ভিজিটর যদি সেই লিংকে ক্লিক করে, তবে ওয়েব পাবলিশারের অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হবে। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিজ্ঞাপনী নেটওয়ার্কটি বর্তমানে ইন-টেক্সট বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি ইন-সার্চ, ইন-ফ্রেম ও ইন-ট্যাগ বিজ্ঞাপনী সেবা দিচ্ছে। ঠিকানা: www.infolinks.com
Are you looking to earn cash from your websites with popup ads?
ReplyDeleteIf so, did you know about Pop Cash?
বাংলা সাইটের জন্য এডসেন্স এর বিকল্প হিসেবে খুব ভালো কোনো এডমিডিয়া নেই, তবে অনেকগুলো আছে যারা ছোট সাইটগুলোর জন্য ভালো। যেমনঃ Adhitz, a-ads, ad chandrabindu ইত্যাদি।
ReplyDelete