অ্যাপলের
জনপ্রিয় ডিভাইসসমূহের মধ্যে আইপ্যাড অন্যতম। আর এই ডিভাইসের স্বপ্নদ্রষ্টা
ছিলেন স্বয়ং স্টিভ জবস। তবে মজার ব্যাপার হল, তাঁর নিজের সন্তানদের জন্য
নিষিদ্ধ ছিল আইপ্যাড ব্যবহার।
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
অ্যাপলের
জনপ্রিয় ডিভাইসসমূহের মধ্যে আইপ্যাড অন্যতম। আর এই ডিভাইসের স্বপ্নদ্রষ্টা
ছিলেন স্বয়ং স্টিভ জবস। তবে মজার ব্যাপার হল, তাঁর নিজের সন্তানদের জন্য
নিষিদ্ধ ছিল আইপ্যাড ব্যবহার।
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
অ্যাপলের
জনপ্রিয় ডিভাইসসমূহের মধ্যে আইপ্যাড অন্যতম। আর এই ডিভাইসের স্বপ্নদ্রষ্টা
ছিলেন স্বয়ং স্টিভ জবস। তবে মজার ব্যাপার হল, তাঁর নিজের সন্তানদের জন্য
নিষিদ্ধ ছিল আইপ্যাড ব্যবহার।
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
অ্যাপলের
জনপ্রিয় ডিভাইসসমূহের মধ্যে আইপ্যাড অন্যতম। আর এই ডিভাইসের স্বপ্নদ্রষ্টা
ছিলেন স্বয়ং স্টিভ জবস। তবে মজার ব্যাপার হল, তাঁর নিজের সন্তানদের জন্য
নিষিদ্ধ ছিল আইপ্যাড ব্যবহার।
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
স্টিভ জবসের জীবদ্দশায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক নিক বিলটন জবসকে জিজ্ঞাসা করেন," তো আপনার সন্তানেরা নিশ্চয় আইপ্যাড অনেক পছন্দ করে?" প্রতিবেদককে অবাক করে দিয়ে জবস বলেন," তাঁরা এটি ব্যবহার করেনি। আমাদের সন্তানেদের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।"
সিলিকন ভ্যালিতে একটি প্রবণতা লক্ষ্য করার মত। আর সেটি হল শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাদের সন্তানদের প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে কিছুটা দূরে রাখতে চান। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের সন্তানদের এমন স্কুলে ভর্তি করান যেখানে প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। আর এর মধ্যে আছে ওয়ালডর্ফ স্কুল যেখানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই সীমিত। এর পরিবর্তে হাতে কলমে শেখানোর উপর জোর দেওয়া হয় স্কুলটিতে।
এ বিষয়ে থ্রিডি রোবটিকসের প্রধান নির্বাহী এবং পাঁচ সন্তানের জনক ক্রিস এন্ডারসনের একটি বিবৃতি রয়েছে যা তিনি দিয়েছিলেন টাইমস ম্যাগাজিনকে। বিবৃতিতে তিনি তুলে ধরেন ঠিক কি কারণে প্রযুক্তি জগতের নির্বাহীরা তাদের সন্তানকে প্রযুক্তি থেকে দূরে রাখতে চান। তাঁর মতে," আমার সন্তানেরা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ফ্যাসিস্ট বলে থাকে এবং বলে যে, আমরা প্রযুক্তি নিয়ে একটু বেশিই উদ্বিগ্ন। তারা এও বলে যে, তাদের কোন বন্ধুকেই এ ধরণের নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয় না। আর এর কারণ হল, প্রযুক্তির বিপদজনক দিকগুলো আমরা সরাসরি অবলোকন করেছি। আমি নিজের মধ্যেও এটি দেখেছি। আমি চাইনা আমার সন্তানের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটুক।"
আইফোন কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি আমাদের নেশার মত ঝুঁকে পড়াটা যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে থাকে, তাহলে এটি বলা যায় যে, আমরা আমাদের সন্তানদের অসম্পূর্ণ এবং বিকলাঙ্গ হিসেবে গড়ে তুলছি যাদের মধ্যে থাকবেনা কোন চিন্তাশক্তি কিংবা সৃজনশীলতা। আমরাই সম্ভবত সর্বশেষ প্রজন্ম যারা বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে খেলতে পেরেছি। কারণ আমাদের ছিল না কোন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপ। আমরা শিক্ষালাভ করেছি মানুষের জীবনযাপন এবং চলাফেরা থেকে, একেবারে হাতে কলমে। আমরা প্রযুক্তিকে আত্তীকরণ করেছি বই পড়ে এবং সামাজিকীকরণের মাধ্যমে, সমাজের অন্যান্য মানুষের সাথে মিলেমিশে, কোন গুগল সার্চ ছাড়াই।
বিভিন্নভাবে শিক্ষালাভ করার ব্যাপারটা আমাদের আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। আর তাই এখন যদি আমি প্রশ্ন করি যে, আমাদের কোন ক্ষেত্রে বেশি চিন্তিত হওয়া উচিত? আমরা যদি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে তাদের স্ন্যাপচ্যাট কিংবা ক্যান্ডি ক্র্যাশে বুঁদ হয়ে থাকা থেকে বঞ্চিত করি, সেটি বেশি চিন্তার বিষয় নাকি তাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে তাদের একটি স্বাস্থ্যকর, পরনির্ভরশীলতা মুক্ত একটি জীবন থেকে বঞ্চিত করি? আমার মতে, এদিক থেকে চিন্তা করলে স্টিভ জবস তাঁর সন্তানদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
এবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা আপনার।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/05/117025.html#sthash.eaxJOTXI.dpuf
No comments:
Post a Comment